দ্বিতীয় সুপার ওভারে কেউ না জিতলে কী হতো?

প্রথম সুপার ওভারে যশপ্রীত বুমরার আগুনে বোলিংয়ে কোনোমতে ৫ রান তুলল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। সেই সামান্য পূঁঁজি নিয়েই মোহাম্মদ শামি দুর্দান্ত বোলিং করলেন। পাঞ্জাব ৫ রানেই থামল। ম্যাচ গড়াল দ্বিতীয় সুপার ওভারে। ১১ রান তোলে মুম্বাই। জবাবে ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম বলেই ছক্কা মারেন ক্রিস গেইল। ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। গতকাল রবিবার আইপিএলের মঞ্চে এমনই রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচ দেখা গেছে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক ম্যাচে দুই সুপার ওভার হলো। প্রশ্ন হলো, যদি দ্বিতীয় সুপার ওভারেও ম্যাচের নিষ্পত্তি না হতো, তাহলে কিভাবে ফলাফল ঘোষিত হতো?

আইসিসির পুরনো নিয়ম ছিল, প্রথম সুপার ওভারে খেলার নিষ্পত্তি না হলে বাউন্ডারির হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে এই নিয়মের কারণে হারতে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে। বাউন্ডারি সংখ্যাও সমান হলে রানের হিসেব করা হতো। যেমন ওভারের পঞ্চম বলে কোন দলের রান কি ছিল? সেটা সমান হলে হিসাব হতো চতুর্থ, তৃতীয়, দ্বিতীয় এবং প্রথম বলের রান। গত বিশ্বকাপ ফাইনালের পর তীব্র সমালোচনা শুরু হলে এই নিয়ম পরিবর্তন করে আইসিসি। যে কারণে গতকালের আইপিএল ম্যাচে দেখা যায় দুটি সুপার ওভার।

আইসিসির নতুন নিয়মে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত সুপার ওভার চলতেই থাকবে। অর্থাৎ দ্বিতীয় সুপার ওভারে টাই হলে তৃতীয় সুপার ওভার। আর তৃতীয় সুপার ওভারে টাই হলে চতুর্থ সুপার ওভার। এভাবে চলতেই থাকবে খেলা। এটা অনেকটা ফুটবলের ‘সাডেন ডেথ’ নিয়মের মতো। এই নিয়ম কার্যকর করতে ফুটবলে ততটা সময় না লাগলেও ক্রিকেটের ক্ষেত্রে তো অনেক সময় লাগে। খেলোয়াড়, দর্শক, সম্প্রচারকারী সংস্থা- সবারই সমস্যা হয়ে যায়। তাই এই নিয়মে কিছু ফাঁক রেখেছে আইসসি। ম্যাচ রেফারিকে একটি ক্ষমতা দিয়ে রাখা হয়েছে।

ম্যাচ রেফারি যদি মনে করেন যে, খেলা অনেক লম্বা হয়ে যাচ্ছে; তাহলে তিনি আগে থেকে সুপার ওভারের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দিতে পারেন। এর মধ্যে মীমাংসা না হলে ম্যাচটা টাই বলেই ধরে নেওয়া হবে। এছাড়া আবহাওয়ার কারণে বা সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান যদি আপত্তি জানায় সে ক্ষেত্রেও টানা সুপার ওভার নীতি থেকে সরে আসার সুযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রেও ম্যাচটা টাই হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে। শুধু প্রথম সুপার ওভারে ব্যাট বা বল করা খেলোয়াড়েরা দ্বিতীয় সুপার ওভারে অংশ নিতে পারবেন না। তার সুযোগ হবে তৃতীয় সুপার ওভারে। আবার দ্বিতীয় সুপার ওভারে ব্যাটিং-বোলিং করা ক্রিকেটাররা পুনরায় সুযোগ পাবেন চতুর্থ সুপার ওভারে।