দ্বিতীয় ধাপের করোনা মোকাবেলায় মুক্তির পথে চীন

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় একের পর এক সাফল্য দেখাচ্ছে চীন। প্রথম ধাপের সংক্রমণ রোধের পর রাজধানী বেইজিংয়ে দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণও পুরো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে দেশটি। টানা ২৬ দিন পর মঙ্গলবার বেইজিংয়ে নতুন করে  কেউ করোনা আক্রান্ত হয়নি।

জুনের শুরুতে দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর মঙ্গলবার সবশেষ চব্বিশ ঘণ্টায় বেইজিংয়ে নতুন কোনো কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়নি । বেইজিং এর সংক্রমণ ছিলো এলাকাভিত্তিক। শুরুটা হয়েছিল বেইজিংয়ের পাইকারি মার্কেট জিনফাদি এলাকা থেকে। জুনের শুরু থেকে সেখান থেকে সংক্রমণ শুরুর পর এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩৫ জন।

বেইজিংয়ের স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, চব্বিশ ঘণ্টায় একজন নমুনাবিহীন রোগী পাওয়া গেছে। তবে তাকে নিশ্চিত করোনা আক্রান্তে রোগীর তালিকাভুক্ত করা হয়নি।

দ্বিতীয় ধাপের প্রার্দুভাব শুরুর পর বেইজিংয়ের সবাইকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়ে কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছিল। প্রতিটি পরিবার থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য মাত্র একজনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। বেইজিংয়ের স্কুলগুলোও আবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল সেই সাথে বিনোদন স্পট বন্ধ করা হয়।

জানুয়ারিতে উহানের ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়েছে বেইজিং। কারণ ভাইরাসটি কতটা সংক্রামক তা বুঝে উঠতেও হিমশিম খেয়েছে বিশেজ্ঞের দল। এর জের ধরেই বেইজিংয়ে, করোনা নেগেটিভ না আসলে তার জন্য হাসপাতালে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং আশেপাশের অঞ্চলে অস্থায়ী পরীক্ষার সাইটগুলি স্থাপন করা হয়েছিল যেখানে লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে পরীক্ষা করা সম্ভব।

কোথা থেকে আবার সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে সেই অনুসন্ধান এখনো চালিয়ে যাচ্ছে চীন কর্তৃপক্ষ। দেখা গেছে, জিনফাদি মার্কেটে যেখানে আমিদানি করা স্যামন মাছ রাখা হতো সেখানকার চপিং বোর্ডগুলোতে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে।

এই অনুসন্ধানের পর পরই কিছু কিছু পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করে চীন। সেই সঙ্গে বিদেশি খাবার সরবরাহকারীদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ।

বেইজিং কর্তৃপক্ষ জানায়, দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণের ঘটনার পর ১১ জুন থেকে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ১০ লাখ নাগরিকের কভিড-১৯ টেস্ট করা হয়েছে, যা নগরীর মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ