দ্বিতীয় আসরেই চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিতে ‘অখ্যাত’ এই ক্লাব

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের লড়াই যে কতোটা কঠিন তা বোঝা যায় পিএসজিকে দিয়েই।

ফরাসির এই সেরা ক্লাবটি ২৫ মৌসুম পর সেমিফাইনালের টিকিট পেয়েছে। ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের আসরে এবার ধরাশায়ী ইপিএল চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল, লা লিগা চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ ও সিরিআ চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস।

এমন বাঘা বাঘা চ্যাম্পিয়নরা যেখানে ঠাঁই পায়নি সেখানে শেষ চারের টিকিট কাটল জার্মানির উঠতি ক্লাব রাসেন বলস্পোর্ট লাইপজিগ বা আরবি লাইপজিগ।

ইউরোপ সেরার আসরে মাত্র দ্বিতীয়বার খেলতে নেমেই সেমিফাইনালে নাম লেখাল ক্লাবটি।

অথচ ২০১৬ সালের আগে ফুটবলপ্রেমীরা লাইপজিগের নামই জানতো না সেভাবে। জার্মানির দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলের দল ছিল এটি। ২০০৯ সালে জন্ম নেয় ক্লাবটি।

চ্যাম্পিয়নস লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সের মাধ্যমে তারা দেখিয়ে দিল মাত্র চার বছরেই কতটা উন্নতি এনেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমির টিকিট নিশ্চিত করেছে লাইপজিগ।

চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের স্বপ্ন দেখছে অখ্যাত এই দল।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতের ম্যাচে প্রতিপক্ষ পিএসজিকে হারালেই ফাইনাল খেলতে পারবে তারা।

যদিও নেইমার-এমবাপ্পেদের হারিয়ে সেই পথ পাড়ি দেয়া দুসাধ্যই বটে।

বৃহস্পতিবার ম্যাচের ৫০ মিনিটে দানি অলমোর গোলে লিড নেয় লাইপজিগ। প্রথমার্ধে দৃঢ় রক্ষণভাগের দরুণ সমতায় ফিরতে পারেনি অ্যাটলেটিকো। ১-০ তে বিরতিতে যেতে হয়। দ্বিতিয়ার্ধে নেমে ৭১ মিনিটে স্কোর সমান করতে সক্ষম হয় অ্যাটলেটিকো।

কিন্ত শেষ হাসি ফুটে লাইপজিগের সমর্থকদের মুখেই। খেলার শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোল করে দলকে সেমিতে তোলেন টাইলার অ্যাডামস।

চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের আসরের গ্রুপপর্বের ৬ ম্যাচে তিন জয় ও দুই ড্রতে ১১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা হয় লাইপজিগ। শেষ ষোলোতে ওঠে তারা। টটেনহ্যাম হটস্পারসকে দুই লেগ মিলে ৪-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ক্লাবটি। গতকাল অ্যাটলেটিকোকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ চারে ওঠার যোগ্যতা অর্জন করল জার্মানির স্যাক্সোনির এই ক্লাব।

 

সূত্রঃ যুগান্তর