দৌলতদিয়ায় যানবাহনের ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সারি

শুক্রবার থেকে কঠোর লকডাউনের খবরে ঢাকায় ছুটছে মানুষ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ঘাটে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার ঢাকামুখী মানুষের চাপ শুরু হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার থেকে দেশজুড়ে কঠোর লকডাউনের খবরে বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে যাওয়া মানুষ ঢাকায় ফিরছে। এ কারণে দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে শতশত যানবাহন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল ৫টা নাগাদ ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের গোয়ালন্দ ফিডমিল পর্যন্ত যানবাহনের অন্তত ৪ কিলোমিটারের  সারি সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

আটকে থাকা যানবাহনের মধ্যে কিছু পণ্যবাহী ট্রাক থাকলেও যাত্রীবাহী দুরপাল্লার বাসের সংখ্যাই বেশি। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ আটকেপড়া যানবাহনে সারি দীর্ঘ হচ্ছিল।

চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা বাসযাত্রী কালাম শেখ বলেন, কঠোর লকডাউনের খবরে প্রিয়জনদের ছেড়ে দ্রুত কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে। প্রায় চারঘণ্টা ফেরির জন্য ঘাটে অপেক্ষা করছি।

বাস চালক ফরিদ শেখ বলেন, ঈদ শেষে মানুষ কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য মাত্র একটা দিন পেয়েছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি কম থাকায় আমরা পার হতে পারছি না।

মাগুরা থেকে ঢাকাগামী একটি বাসের যাত্রী সুলায়মান খান বলেন, অফিস থেকে বলেছে যেকোনো সময় কারখানা খুলতে পারে। ফোন দিলেই অফিসে যেতে হবে। কখন কি হয়, তাই শত কষ্ট নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি ।

অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া অফিস জানায়, নদী পার হতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অতিরিক্ত যানবাহন দৌলতদিয়া ঘাটে আসছে। এতে করে যানবাহনগুলোকে ফেরি পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মরত বিআইডব্লিউটিসি’র ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমান এই নৌরুটে মোট ১৬টি ফেরি সার্বক্ষণিক যানবাহন পারাপার করছে। তারপরও বাড়তি যানবাহনের কারণে ঘাট এলাকায় বেশ কিছু গাড়ি সিরিয়ালে আটকা পড়েছে।

 

সুত্রঃ যুগান্তর