দলের সেরা লেগ-স্পিনার রশিদ খানকে অধিনায়ক করে প্রথমে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছিলো আফগানিস্তান। কিন্তু দল ঘোষণার এক ঘণ্টার মধ্যে অধিনায়কত্ব ছাড়েন রশিদ। কারণ হিসেবে তিনি জানান, তার সাথে আলোচনা ছাড়াই বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করা হয়েছে। রশিদের পরিবর্তে সপ্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অধিনায়কত্ব তুলে দেয়া হয় সাবেক দলনেতা মোহাম্মদ নবির হাতে। নবির নেতৃত্বে আজ থেকে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে আফগানিস্তান।
জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করাটা বেশ কঠিন বলে মনে করেন নবি। আইসিসির একটি ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করাটা বেশ কঠিন কাজ। তবে দলকে নেতৃত্ব দিতে আমার সেরাটা উজাড় করে দেব। টুর্নামেন্টে আমরা ভাল ফল করার চেষ্টা করব। পুনরায় এই মেগা ইভেন্টে অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই খুশি এবং এক্সাইটেড।’
অতীতেও আফগানিস্তানের অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা আছে নবির। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ২৮টি ওয়ানডে ও ১২টি টি-টোয়েন্টিতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তার অধীনে ওয়ানডেতে ১৩ জয়, ১৫ হার এবং টি-টোয়েন্টিতে ৬ জয় ও ৭ ম্যাচে পরাজিত হয় আফগানরা। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নবি।
অভিজ্ঞতা থাকলেও এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করাটা কঠিন চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন এই অল-রাউন্ডার, ‘সম্প্রতি আমরা কঠিন পরিস্থির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের প্রতিনিয়ত চিন্তা করতে হচ্ছে। আর হঠাৎ করেই দলের প্রয়োজনের অধিনায়কত্ব ভার আমার কাঁধে। দীর্ঘদিন পর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব করাটাও কঠিন। তাও আবার বিশ্বকাপের মঞ্চে। এবারের টুর্নামেন্টে সবগুলো দলই অনেক বেশি শক্তিশালী। টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে হলে পরিকল্পনাগুলো সময়মত কাজে লাগাতে হয়।’
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ
