সোমবার , ৬ জানুয়ারি ২০২০ | ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

দেশে পাঁচ-সাতটা পদ্মা সেতু হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

Paris
জানুয়ারি ৬, ২০২০ ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, শেখ হাসিনা নেতৃত্বে মাটির নিচ ও উপর দিয়ে কাজ চলছে। কর্ণফুলীর নিচ দিয়ে ৬ কিলোমিটার সুড়ঙ্গ নির্মাণ করা হচ্ছে। আর মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে। পদ্মা সেতু অর্ধেকের বেশি শেষ হয়ে গেছে। আর মাত্র চার-পাঁচ মাস পর পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করে ফেলব আমরা।

তিনি বলেন, একটা নয়, দুইটা নয় ক্রমান্বয়ে পাঁচ-সাতটা পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে।

রোববার সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পাওয়ায় আয়োজিত আনন্দ র‌্যালি শেষে আনন্দ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট দিয়ে সারা দেশে যোগাযোগ রাখছি। প্রধানমন্ত্রী চান মহাশূন্যে কাজ করতে। আমেরিকা-রাশিয়ার মতো আমরা অচিরেই মহাশূন্যে যাব। বাংলাদেশে কোনো জায়গা উন্নয়নের বাকি থাকবে না।

সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এমএ মান্নান বলেন, আমাদের একটাই কাজ শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো। সুনামগঞ্জবাসীর পক্ষে হাজারো কারণ আছে তাকে ধন্যবাদ জানানোর। তার হৃদয়ে আমাদের জন্য বিশেষ স্থান আছে।

তিনি বলেন, শুধু আমরা নই, এই বাংলার দরিদ্র মানুষ, যারা খেটে খায়, পরিশ্রম করে কৃষক, মজুর, যারা পরিশ্রম করে ভাত খায়। যারা বিভিন্ন প্রতিকূলতায় হাওর-বাঁওড়ে, নদীর চরে, উপকূলে, পাহাড়ে বাস করে। তাদের জন্য তিনি সব সময় চিন্তা করেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সুনামগঞ্জবাসী স্বীকার করতেই হবে আমরা আগের মতো অবহেলিত বঞ্চিত নই। এক পাশে পড়ে থাকা জেলা নই। আমরা বাংলার কেন্দ্রে অবস্থান করছি। বাংলাদের উন্নয়নের মূল ধারায় আমাদের স্থান। এ সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য। আমরা তার প্রতি চির কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, সুনামগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা হচ্ছে। দিরাইয়ে রাস্তা, মেডিকেল কলেজের কাজ চলছে। টেক্সটাইল ইন্সটিটিউটের কাজ চলছে। রানীগঞ্জে জেলার দীর্ঘতম সেতুর কাজ প্রায় ৮০ ভাগ হয়ে গেছে। যা চার-পাঁচ মাসের মধ্যে শেষ হবে। সিলেট-সুনামগঞ্জ প্রশস্থকরণের কাজ চলছে। সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু হয়ে গেছে। আর কয়েকটি প্রাতিষ্ঠানিক কাজ সম্পন্ন করে এই বছরের মধ্যেই চাইব প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর করার। ছাতক থেকে রেল সুনামগঞ্জে নিয়ে আসব। এই সরকারের মেয়াদেই করা হবে। এই রেল ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়ার মতো সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে।

তিনি আরও বলেন, ১৩ কিলোমিটার উড়াল সেতু নির্মাণ করে নেত্রকোনার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা করা হবে। ৫ হাজার কোটি টাকার ব্যয়ে টিউবওয়েল স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। সুনামগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়নে ৫০০ কিংবা ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। এইভাবে বহুমুখী উন্নয়নের মাধ্যমে জেলার আমূল পরিবর্তন করা হবে।

জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আনন্দ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, বিরোধীদলীয় হুইপ ও সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, সুনামগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. জয়া সেন গুপ্তা, সুনামগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা মহিলা লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহানা রাব্বানী, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপিএম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, পৌর মেয়র নাদের বখত, বীর প্রতীক ইদ্রিস আলী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হায়দার চৌধুরী লিটন ও শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান ইমদাদ রেজা চৌধুরী।

উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর ক্যাবিনেটে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আনন্দ র‌্যালি করে সুনামগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণ।

রোববার দুপুরে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের নেতৃত্বে প্রায় ১০ সহস্র মানুষের অংশগ্রহণে উক্ত আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়।

র‌্যালিতে বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার জনতা অংশ নেন। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা স্টেডিয়ামে গিয়ে আনন্দ সমাবেশে মিলিত হয়।

সর্বশেষ - জাতীয়