দেশে দ. আফ্রিকান ধরনের সংক্রমণে পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি

দেশে সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার উচ্চসংক্রমণশীল প্রজাতির করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর ফলে দ্রুতগতিতে করোনা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। দেশে এখন নতুন করে যে ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যাচ্ছে তার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের ৮১ শতাংশ মিল রয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট (B.1.351) এবং ব্রাজিলের ভ্যারিয়েন্ট (P1/P2) বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

আইসিডিডিআর,বি বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট (B.1.351) এই তিনটি ধরনেরই সংক্রমণ ঘটানোর সক্ষমতা বেশি; জিনগত পরিবর্তনও ঘটেছে বেশি, যা রোগীর চিকিৎসা পদ্ধতি এবং টিকার কার্যকারিতার ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।

আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর’বি) এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন বুধবার (৭ এপ্রিল) তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।

গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে চলতি বছরের ২৪ মার্চ পর্যন্ত আইসিডিডিআর’বি, আইইডিসিআর ও স্বাস্থ্য অধিদফতর যৌথভাবে দেশে কোন ধরনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে তা জানতে ১৬ হাজার ২৬৫টি নমুনা রিয়েল টাইম পিসিআর মেশিনে ভাইরোলজি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে। মোট নমুনার মধ্যে দুই হাজার ৭৫১টি নমুনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।

jagonews24.com

গবেষণায় দেখা গেছে, চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি প্রথম যুক্তরাজ্যের প্রজাতির করোনা শনাক্ত হয়। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ৫২ শতাংশ নমুনায় যুক্তরাজ্যের প্রজাতির ভাইরাস পাওয়া যায়।

নাটকীয়ভাবে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রজাতির করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। আর মার্চের চতুর্থ সপ্তাহে এসে ৮১ শতাংশ নমুনায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রজাতির করোনা শনাক্ত হয়।

বর্তমান সারাদেশে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আইসিডিডিআর’বির গবেষক করোনার সংক্রমণরোধে দেশের জনগণের প্রত্যেককে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান, হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, টিকা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ