দেশের শিল্প খাত ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে : শিল্পমন্ত্রী

কুটির, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে (সিএমএসএমই) সরকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে গ্রহণ করেছে জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, শিল্প খাতে লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি হাজারো নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। এসব উদ্যোক্তা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। কভিড-১৯-এর ফলে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের সিএমএসএমই খাত মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং এ খাতে কর্মসংস্থান কমেছে। করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ৭২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার পাঁচটি প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের ফলে দেশের শিল্প খাত ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।

শিল্পমন্ত্রী আজ ভার্চুয়াল মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ সেন্টার (ICE Centre) আয়োজিত “একটি উদ্যোক্তাবান্ধব ও উন্নত বাংলাদেশের দিকে : উদ্ভাবন এবং জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির নির্মাণ কৌশল হিসেবে সিএমএসএমই’র ভূমিকা শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ মিজ. ভ্যান নগুয়েন (Ms. Van Nguyen)।

এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ সেন্টার (আইসিই সেন্টার)-এর ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.খন্দকার বজলুল হক, ইউএনডিপি’র অ্যাসিসট্যান্ট রেসিডেন্স রিপ্রেজেন্টেটিভ খোরশেদ আলম, আইসিসি সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক মাসুদুর রহমান অনলাইনে আলোচনায় অংশ নেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শিল্পায়নের ইতিহাসের সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত। বঙ্গবন্ধু তৃণমূল পর্যায়ে আমদানিবিকল্প শিল্পপণ্য উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়িয়ে দেশকে শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার স্বপ্ন দেখতেন। এজন্য তিনি তদানীন্তন কোয়ালিশন সরকারের শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে ১৯৫৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান ক্ষুদ্র শিল্প কর্পোরেশন (ইসপিক) গঠন করেন, যা স্বাধীনতার পর বিসিক হিসেবে সারা দেশে শিল্পায়নে কাজ করছে। বিসিকের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে শিল্পায়ন কার্যক্রম জোরদারের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পখাতের অবদান শক্তিশালী হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনের আলোকে শিল্প মন্ত্রণালয় কুটির, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নের প্রতি অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

তিনি জ্ঞানভিত্তিক এবং উদ্ভাবনী অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার, বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডাস্ট্রি ও উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে কার্যকর সংযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ ধরণের উদ্যোগের প্রতি শিল্প মন্ত্রণালয়ের সর্বাত্মক সমর্থন থাকবে বলে তিনি জানান।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ