সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
দেশের উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সোমবার (১১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এ আগ্রহের কথা জানান।
এ সময় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ইউজিসি সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক জেসমিন পারভীনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের চার সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন প্রতিষ্ঠানটির কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সভায় ট্রান্সন্যাশনাল হায়ার এডুকেশন মডেলের আওতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা কীভাবে সামাজিক ও আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হবে তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। এ বিষয়ে একটি পলিসি ডায়ালগ আয়োজন করার ওপর তারা গুরোত্বারোপ করেন তরা।
সৌজন্য সভায় স্টিফেন ফোর্বস ট্রান্সন্যাশনাল হায়ার এডুকেশনের আওতায় দেশের উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এক্ষেত্রে জয়েন্ট ডিগ্রি, ডুয়াল ডিগ্রি, কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেন্টার, টিচিং-লার্নিং ও গবেষণা সহযোগিতা দেওয়ার তিনি আশ্বাস দেওয়া হয়।
দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিকীকরণ, শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, উচ্চশিক্ষা খাতে অ্যাকাডেমিক অংশীদারত্ব তৈরি এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন বিষয়ে সভায় আলোচনা করা হয়।
অধ্যাপক ফায়েজ বলেন, ইউজিসি মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।
অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান বলেন, ট্রান্সন্যাশনাল হায়ার এডুকেশনের আওতায় বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অর্থ ব্যয়ের একটা অংশ দেশের সীমানার ভেতরে থাকবে। এক্ষেত্রে অর্থের একটা অংশ বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও পাবে।
মানসম্মত উচ্চশিক্ষায় ভূমিকা গ্রহণের জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান।
অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, মানসম্মত উচ্চশিক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংলাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সমাজ, প্রকৃতি ও সাধারণ মানুষের সংযোগ স্থাপন প্রয়োজনীয়। একইসঙ্গে শিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণে মেধাপাচার যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন