শুক্রবার , ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

দেরিতে ছাড়লো ট্রেন; হাজারো যাত্রীর দুর্ভোগে কাটল ঘন্টা

Paris
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৬ ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রদিবেদক:

রাজশাহী স্টেশন থেকে ঢাকাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস আন্ত:নগর ট্রেনটি ছাড়া কথা ছিল সকাল সাড়ে সাতটায়। কিন্তু সেই ট্রেনটি সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা থেকে রাজশাহী স্টেশনে এসে পৌঁছে।

 

  • তারপর সেটিকে ওয়াস কক্ষে নিয়ে গিয়ে ধুয়ে-মুছে ফের স্টেশনে আনতে সময় গড়িয়ে যায় আরো ঘন্টা খানেক। এরপর সকাল সাড়ে আটটার সময় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।

 

আর মাঝেকার এই সময়টুকু তিল ধারণের জায়গা না থাকা স্টেশনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয় এক হাজারের বেশি যাত্রীকে।

14388786_1257815377603679_257077063_n-copy

  • যাদের মধ্যে অনেকেই ছিল নারী ও শিশু এবং বয়স্করা। শুক্রবার সকালে ঈদ পরবর্তি ফিরতে ট্রেনের টিকিট কেটে এমনই দুর্ভোগের শিকার হতে হয় যাত্রীদের।

 

এমনিতেই ট্রেন ছাড়ার অন্তত ২০-৩০ মিনিট আগে এসে হাজির হন সাধারণ যাত্রীরা। ফলে আরো এক ঘন্টা দেরিতে ট্রেন ছাড়ায় ভোগান্তি আরো কয়েক ‍গুন বেড়ে যায় যাত্রীদের।

14383272_1257815210937029_2117719495_n-copy

  • জানতে চাইলে আবু হোসাইন নামের এক ষাটোর্ধ ব্যক্তি সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘স্টেশনের প্লাট ফর্মে বসার তেমন জায়গা নাই। এর ওপর হাজারের বেশি মানুষ। ফলে পা ফেলারও যেন জায়গা নাই। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছি। ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ায় ভোগান্তি আরো বাড়ে।’

 

আরকে যাত্রী হাসিনা পারভীন বলেন, ‘নিজেই দাঁড়ানোর জায়গা নাই। এর ওপর বাচ্চাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা যে কি কষ্টের তা বুঝানো যাবে না। স্টেশন কর্তৃপক্ষের এই দিকটা নজর দেওয়া উচিত। ট্রেন এক-দুই ঘন্টা দেরিতে ছাড়তে পারে, তবে যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে স্টেশন কর্তৃপক্ষকে তাদের বসে থাকার ব্যবস্থাটা করে দিতে পারে। কিন্তু সেটিও করে না তারা।’

14348736_1257815340937016_1229454101_n-copy

  • অপর যাত্রী বলেন, ট্রেনে টিকিট ছাড়া উঠলে জরিমানা করা হয়। কিন্তু দেরিতে ট্রেন ছাড়লে যাত্রীদের কোনো ক্ষতি পূরণ দেওয়া হয় না। আবার যাত্রীরা যেতে পারলো কি না সেটি তো বিবেচনায় আনা হয় না। এ কারণেই আমাদের দেশের ট্রেনের ওপরও মানুষ ভরসা রাখতে পারে না।’

 

জানতে চাইলে রাজশাহী স্টেশনের সুপারিন্টেডেন্ট জিয়াউর রহমান বলেন, ঈদের সময় ট্রেনের সিডিউল কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপের কারণে এমনটি ঘটে। এর ফলে রাজশাহী স্টেশনে অপেক্ষামান যাত্রীদের কিছুটা দুর্ভোগ পোাহতে হয়েছে। তবে আশা করছি দ্রুত এই ভোগান্তি থাকবে না।’

 

স/আর

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর