দৃঢ় বর্তমানই আগামী দিনের চলার পাথেয়

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্মরণীয় দিন। ঢাকায় ৯০ হাজার পাকিস্তানি সেনা আত্মসমর্পণ করল। আর একটা জাতি লাভ করল এক অসাধারণ অমূল্য সম্পদ। চারটি অক্ষরের একটি শব্দ—স্বাধীনতা। মানুষ দীর্ঘকাল সংগ্রাম করে এসেছে এই স্বাধীনতার জন্য। পৃথিবীর ইতিহাস স্বাধীনতা লাভের ইতিহাস। ত্যাগ-তিতিক্ষা সব কিছু স্বীকার করেছে মানুষ, শুধু মুক্তির জন্য। সাধারণ মানুষ আশা করেছিল, স্বাধীনতা দেশে রাজনৈতিক স্বাধিকার দেবে। সামাজিক অগ্রগতি দেবে। অর্থনৈতিক সাফল্য এনে দেবে। আজ এত বছর পর মুজিববর্ষে এসে দাঁড়িয়ে। অতীতের সেই দিনটি থেকে আজ এই দীর্ঘ সময়ের যদি মূল্যায়ন করা যায় তাহলে দেখা যাবে—অনেক কিছু পূরণ হয়েছে, অনেক কিছু পূরণ হয়নি। অনেক আশা হয়তো নিরাশায় পর্যবসিত হয়েছে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে স্বৈরশাসক ক্ষমতার দখল নিয়েছে। স্বৈরশাসনের পরিবর্তে আবার এসেছে গণতন্ত্র। সেই গণতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্র দেখা গেছে বাংলাদেশে। ফলে অনেকটা সময় সত্যিকারের গণতন্ত্রের স্বাদ বাংলাদেশের মানুষ পায়নি। যে বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন এক দীর্ঘ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে; সেই শেখ মুজিবকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল সামরিক বাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটা দীর্ঘ সময়ে বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক কাঠামোয় কাজ করছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভিত্তি নির্মাণ না করে একটা অগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অবকাঠামোনির্ভর সমাজে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না, সেটা শেখ হাসিনা জানেন। সে কারণেই জনসংখ্যার একটা দীর্ঘ পরিসর এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে আছে। তাই জাতি গঠনের পাশাপাশি বাংলাদেশকে উৎপাদনমুখী, শিল্পমুখী করার চেষ্টাও চলছে। লক্ষ-কোটি মানুষ বেকার, অর্ধবেকার, অনুৎপাদনশীল কেন থাকবে? সেই প্রশ্নের জবাব শেখ হাসিনা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এখনো সমস্যা যে নেই তা নয়। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে রকম ভারতেও আছে, ঠিক সেভাবে বাংলাদেশেও আছে দুর্নীতি। অর্থবল, পেশিশক্তি অনেক সময় মানবিক মূল্যবোধকে পরাস্ত করে। নৈতিক শক্তিকে খর্ব করে দেয়।

বাংলাদেশে গিয়ে যখন জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে যাই, তখনই একাত্তর সালের স্মৃতি চোখের সামনে দেখতে পাই। প্রতিবছর এই ঐতিহাসিক স্থানে জাতীয় অনুষ্ঠান হয়। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীপ্রধানরা থাকেন। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থাকেন। সালাম গ্রহণ করেন। সে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। মনে পড়ে যায় যে এই বিজয় দিবস ভারত ও বাংলাদেশ দুটি রাষ্ট্রের এক যৌথ অঙ্গীকার।

পাকিস্তান রাষ্ট্র থেকে পূর্ব পাকিস্তান বিচ্ছিন্ন হয়ে গঠিত হলো বাংলাদেশ। ঢাকায় ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে একাত্তর সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানের লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করলেন। অন্যদিকে মিত্র বাহিনীর পক্ষে ছিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জগজিৎ সিং অরোরা। সেই সময়টা আজকের প্রজন্ম দেখেনি। পাঠ্যপুস্তকে কিংবা বিভিন্ন প্রবন্ধের মাধ্যমে, চলচ্চিত্রের সাহায্যে অনেকেই দেখেছে। ১৯৭১ সালে স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান হয়ে গেল বাংলাদেশ ব্যাংক। ১৯৭২ সালে তৈরি হয় সংবিধান। এই ইতিহাস স্মরণ করা বারবার নানাভাবে দুটি দেশের কাছেই খুব জরুরি। তাইতো ২০১৪ সালে বিশাখাপত্তমে ওয়ার মেমোরিয়ালে শহীদদের স্মরণ করা হয়, যখনই বিজয় দিবস আসে। ইন্ডিয়া গেটের সামনে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ভারতীয় সেনাপ্রধানরা এসে সেই বীর শহীদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। কিন্তু অতীতের এই স্মৃতির সঙ্গে আজকের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সংযোগ স্থাপনটা বড় জরুরি। এটা শুধু মিউজিয়ামের বিষয় নয়। মেমোরিয়ালের বিষয় নয়। শুধু স্মৃতিচারণার বিষয় নয়। শুধু একটা চলচ্চিত্র ‘মাটির ময়না’র দৃশ্যপট নয়। আজকের বাস্তবে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণ। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ মধুর সম্পর্কের ভিত্তিতে এই পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা ও উন্নয়নকে মজবুত রাখা। এগুলো ভবিষ্যতের অঙ্গীকার। শুধু অতীতের ইতিহাস-কাহিনি নয়। আর তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক প্রার্থী বাংলাদেশ। তার প্রতি ভারত সমর্থন ব্যক্ত করেছে। ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের এই অবস্থান জানিয়েছেন। ভারতের যে প্রতিশ্রুতি, ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশকে কভিড-১৯-এর টিকার তিন কোটি ডোজ দেওয়া, সে বিষয়টাও দোরাইস্বামী জানিয়েছেন। টিকা কার্যকরভাবে বিতরণের জন্য বাংলাদেশি স্বাস্থ্য পেশাদারদের সক্ষমতা বাড়াতেও ভারত সরকারের সহায়তার আগ্রহের কথা তিনি জানিয়েছেন। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ভারতের ভিসা প্রাপ্তিতে বাংলাদেশিরা যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, সে বিষয়টি আলোচনায় উঠেছিল। হাইকমিশনার বলেছেন, এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ ভারতীয় ভিসা দেওয়া শুরু হয়েছে। আর বাকিগুলো পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে দেওয়া হবে। তিনি পারস্পরিক স্বার্থে দুই দেশের মধ্যে ব্যাবসায়িক পর্যায়ে আত্মসংযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। কৃষিপণ্যের মূল্য সংযোজনে বাংলাদেশের খাদ্য ও কৃষি খাতে বিনিয়োগে ভারতের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের পররাষ্ট্রনীতিতে যে কথা বলা হয়েছিল, ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’—সে কথা প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধ-পরবর্তী দেশ পুনর্গঠনে অবদানের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেছেন। ভারতের পার্লামেন্টে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তির বিষয়টি সর্বসম্মতভাবে পাস হওয়ার বিষয়টিও শেখ হাসিনা তুলে ধরেন। বাংলাদেশের বেলায় ভারতীয় কণ্ঠ ঐক্যবদ্ধ। তার জন্য তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন ভারতের হাইকমিশনার। মুজিববর্ষ উদযাপনের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গৃহীত ভারতের কর্মসূচিও প্রধানমন্ত্রীকে জানান দোরাইস্বামী। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। এটাকে নতুন করে গড়তে হবে। ভারতীয়রা বাংলাদেশের উন্নয়নের সহযোগী হতে চায়। সেই ধারাবাহিকতা চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর বন্ধ হয়ে যাওয়া চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল সংযোগ ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করবেন। সেদিন ভার্চুয়াল সম্মেলনে আরো কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। এই ছোট ঘটনাগুলো ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের আগামী দিনের পথনির্দেশিকা।

আসলে অতীতচারণ ঠিক কতটা আমরা করব, কতটা করব না সেটারও একটি সঠিক বাস্তব উপলব্ধি প্রয়োজন। এডনা ফারবার বলেছিলেন, অতিমাত্রায় অতীত আসক্তি এক নির্বোধ অনুভূতিহীন একাকিত্বের মতো। দীর্ঘ সময়ে অতীতের দিকে বেশি তাকিয়ে থাকলে ঘাড়ের মাংসপেশি মচকে যাবে। আর উল্টো দিক থেকে আসা লোকদের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খাবে।

এডনা ফারবারের কথাটা মনে রাখতে হবে। এক নতুন শতকের, এক নতুন সহস্রাব্দের জন্য আমাদের সমাজ-দেশ সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কী কী সাফল্য অর্জন করেছে, কী কী ব্যর্থতা তা বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা দরকার। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ কী কী চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করেছে, কী কী সুযোগ হারিয়েছে, কী কী সুযোগ পাওয়া উচিত—এর পুরো পর্যালোচনার ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশ কিন্তু চিরকাল একসঙ্গে থেকেছে। ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পাকিস্তান আজ নতুন করে সখ্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছে এবং বারবার পুরনো ইতিহাসের গ্লানি মুছে দিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করার কথা বলছে। চীন ও পাকিস্তান অক্ষ বাংলাদেশে পৌঁছতে চাইছে। বাংলাদেশও একটা স্বনির্ভর পররাষ্ট্রনীতির কথা বলছে। তাই বলে ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নির্বোধ অনুভূতিহীন একাকিত্বের মতো ভেবে বর্জন করাটাও উচিত নয়। সেই ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক সময়টাকে গড়ে তোলা দরকার। ভারত ও বাংলাদেশ সেই কাজটাই করছে। ১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ বাংলাদেশের সমাজের একটা ক্রান্তিকাল বলা যায়। তখন নব্য ঔপনিবেশিক শক্তির শাসন ও শোষণ থেকে বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের মুক্ত করার জন্য সংগ্রাম করেছিল। স্বাধীনতার জন্য সেই যুদ্ধ, গণবিক্ষোভ, রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে তখন অনেক খাদ্যাভাব, কত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সব কিছুকে একটা জাতি পরাস্ত করে একটা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। ঔপনিবেশিক শক্তির কাছে ২০০ বছরের পরাধীনতা। নব্য ঔপনিবেশিকদের দুই যুগের শাসন-শোষণ-বঞ্চনা। একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি। ভগ্নসমাজ। তাকে সুষ্ঠু করার জন্য আজ শেখ হাসিনার চেষ্টা। সেই চেষ্টার সফলতাও কম নয়। শুধু তো স্বাধীনতা অর্জন নয়। ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতির স্বাধীনতার মতো অমূল্য সম্পদের সংরক্ষণ ও বিকাশের দায়িত্বও একটা বড় দায়িত্ব। প্রায় বিধ্বস্ত একটা সমাজব্যবস্থাকে একটা মর্যাদায় নিয়ে আসা। লাখো গৃহহারা পরিবারের পুনর্বাসন। একটা গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠনের চেষ্টা শেখ হাসিনা শুধু করেছেন তাই-ই নয়; তিনি বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। একটা নতুন অর্থনীতির পরিকল্পনার রূপ দিয়েছেন। একটা শূন্য কোষাগার থেকে একটা সন্তোষজনক অর্থনীতি শুধু নয়, আজকে গোটা পৃথিবী বাংলাদেশের জিডিপি, বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে প্রশংসা করছে। যাদের একটা অভিজ্ঞতাহীন আমলাতন্ত্র ছিল, সেখানে আজ একটা স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের পরিচালনা, এত বছর হয়ে গেল, একটা কাঠামো তো গড়ে উঠেছে। ১৯৭৬ থেকে ১৯৯০—এই যে দ্বিতীয় পর্যায়ে সমাজের রূপান্তরটা হয়েছিল, সেটা সামরিক স্বৈরশাসন ও নিয়ন্ত্রণের আমল। সেখানে সামাজিক ব্যবস্থাটা শৃঙ্খলায় ফিরে আসতে শুরু করলেও মেরুকরণ বন্ধ হয়নি। রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ছিল। প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চললেও তা বারবার ব্যর্থ হয়েছিল। ১৯৯১ থেকে ২০০০—সমাজের উত্তরণ দেখা যায়। তখন অবাধ ও মুক্ত জাতীয় নির্বাচনে সংসদীয় সরকার গঠন। অর্থনৈতিক সংস্কার এলো। এগুলোও কম নয়। সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা ক্রমেই বাড়ল। ২০০১ থেকে ২০১৫ সময়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন একটা সমাজের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এগোতে থাকল।

আজ ২০২০ সালে মুজিববর্ষে দাঁড়িয়ে ভারত ও বাংলাদেশ হাত ধরাধরি করে পৃথিবীর মানচিত্রে নিজেদের জায়গাটা করতে চায়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একটা বিজয় দিবসের স্মৃতির পটে আজকের একটা দৃঢ় বর্তমানকে রচনা করতে চায়। সেই বর্তমান আগামী দিনের চলার পাথেয়। এই দৃঢ়তাই সব সংশয় দুর্নীতি সংঘাত আমলাতান্ত্রিক জালে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা মানুষকে মুক্ত করে এগিয়ে নিয়ে যাবে—এটাই প্রত্যাশা।

লেখক : নয়াদিল্লিতে কালের কণ্ঠ’র বিশেষ প্রতিনিধি

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ