দুর থেকে স্বজনদের দেখে শান্তি খুঁজে নেন তারা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

এপার বাংলাদেশ অপরে প্রতিবেশী ভারত। মাঝখানে সীমানা কাঁটা তারের বেড়া। ঈদের খুশির দিনে ভারতে থাকা স্বজনদের এক নজর দেখতে ও বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দর্শনার্থী মিলে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে একত্রিত হয়েছিল কয়েক শতাধিক মানুষ। এখানে সরাসরি কথা না বলতে পারলেও দুর থেকে স্বজনদের দেখে শান্তি খুঁজে নেন তারা।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হিলি সীমান্তে শূন্যরেখা একত্রিত হতে থাকে দর্শনার্থীরা। এ এক অন্যরকম দৃশ্য। একত্রিত হওয়া দর্শনার্থীরা সীমানা ঘেঁষে দূরপাল্লার রেল লাইনে সেলফি তুলছেন। কেউ দুর থেকে দাঁড়িয়ে স্বজনদের সঙ্গে ইশারায় কথা বলছেন। বড়দের সঙ্গে ছোটরাও শামিল হয়েছিলেন এই ভিড়ে।

হিলি স্থলবন্দরের দুই দেশের সীমান্ত শহরে নামেই হচ্ছে হিলি। দু-দেশের হিলি শহরের মাঝ দিয়ে রয়েছে রেললাইন। রেললাইনের এপার বাংলাহিলি আর ওপার ভারত হিলি। বাংলাদেশ ও ভারতের নিকটবর্তী শহর হিলি হওয়ায় এই শহর দেখতে ছুটে চলে আসে অনেকেই।

ঈদের দিন বিকেল থেকেই হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেট এলাকায় ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। শুধু ঈদের দিন নয় শুক্রবার ছুটির দিনেও প্রতিদিনেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটর সাইকেল, অটোরিকশা, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে করে তারা এখানে আসেন। অপর দিকে ভারতের অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা আসেন ভারতের জিরো পয়েন্টে।

কথা হয় ফুলবাড়ী থেকে আসা আহসান হাবীব নামের একজনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার বাবার সাত ভাই। এর মধ্যে বাবা বাংলাদেশে থাকেন, বাকি চাচারা ভারতে। বেশ কিছুদিন ধরে তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা হয়নি। ফেসবুক মেসেঞ্জার হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়। আজকে সরাসরি কথা বলতে না পারলেও দূর থেকে এক নজর দেখে নিজেকে খুব খুশি লাগছে।

দিনাজপুর থেকে আসা মরিয়ম বিবি বলেন, পরিবারের সবাই ভারতে থাকেন। চাচাকে দেখতে এসেছি। কাছে গিয়ে কথা বলতে পারলাম না দূর থেকে দেখেও ভালো লাগলো।

দর্শনার্থীরা আরও বলেন, ছেলে মেয়েদের বিনোদনের উদ্দেশ্যেই হিলি সীমান্ত এলাকা দেখতে এসেছি। এতদিন শুনেই এসেছি আজ কাছ থেকে অনেক কাছাকাছি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখলাম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। সেখানে ঘুরে বেড়িয়েছি ও ছবি তুলেছি সব মিলিয়ে খুব ভালো লাগলো এখানে এসে।

বিজিবি জানান, সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে রয়েছি। দুই দেশের লোকজন ঈদের দিনে দুপাশে ভিড় করে। তারা স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে আসে। কিন্তু নিরপত্তার কারণে কাছে গিয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ দেওয়া হয় না। সূত্র: যুগান্তর