ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) একটি দলীয় দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন জাপানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ৪ সদস্য। পদত্যাগকারীদের মধ্যে জাপানের মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাৎসুনোও রয়েছেন।
জাপানের শাসনতন্ত্রে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পদটিকে পূর্ণ মন্ত্রি এবং সরকারের প্রধান মুখপাত্রের মর্যাদা দেওয়া হয়। এর বাইরেও হিরোকাজু মাৎসুনো জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ‘ডান হাত’ নামে পরিচিত ছিলেন।
পদত্যাগকারী আর তিন মন্ত্রি হলেন অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুনজি সুজুকি এবং কৃষিমন্ত্রী ইচিরো মিয়াশিতা।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়ে হিরোকাজু মাৎসুনো জানিয়েছেন, শিগগিরই মন্ত্রিসভার আরও ৫ জন জেষ্ঠ্য উপমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা মিচিকো উয়েনোও দায়িত্ব ছাড়ছেন।
মন্ত্রিসভার এই টালমাটাল অবস্থা স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার জন্য বড় ধরনের আঘাত; আর যারা পদত্যাগ করেছেন, তাদের প্রত্যেকেই ক্ষমতাসীন দল এলডিপির সবচেয়ে প্রভাবশালী অংশের নেতা।
জাপানের সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়া জানিয়েছে, এলডিপির আর্থিক হিসাব থেকে ৫০ কোটি ইয়েন (৩৪ লাখ ডলার) লাপাত্তা হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে মূলত সংকটের শুরু। গত ২০২২ দলীয় তহবিল সংগ্রহের জন্য একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন ও টিকিট বিক্রির দায়িত্বে এলডিপির যেসব নেতা-কর্মী ছিলেন, তারা ৫০ কোটি ইয়েনের হিসাব দিতে পারছেন না। এই অনিয়মের সঙ্গে দলের উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্বের যোগসাজশ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৫ সাল থেকে জাপানে ক্ষমতায় রয়েছে এলডিপি। সুতরাং দেশটির সাধারণ জনগণের কাছে দলটির জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা প্রায় প্রশ্নাতীত পর্যায়ে। তবে তাতেও এবার বড়সড় আঘাত এসেছ। সাম্প্রতিক এক জরিপে জানা গেছে, জাপানের সাধারণ জনগণের মাত্র ৩০ শতাংশের সমর্থন রয়েছে এলডিপির সঙ্গে।