দুর্নীতির অভিযোগে কিয়েভের কর্তাদের পদত্যাগের হিড়িক

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

দুর্নীতির অভিযোগে ইউক্রেনে একের পর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পদত্যাগ করছেন। একজনকে করা হয়েছে বহিষ্কার। প্রেসিডেন্ট ভোলেদিমির জেলেনস্কি দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার উপমন্ত্রী ভায়াচেসলাভ শাপোভালভের পদত্যাগের কথা জানিয়েছে। এই উপমন্ত্রী ইউক্রেনীয় বাহিনীর রসদ সরবরাহের দায়িত্বে ছিলেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে উচ্চ দামে খাবার সরবরাহের চুক্তি করার অভিযোগের পর তিনি পদত্যাগ করলেন। এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বললেও শাপোভালভের পদত্যাগের মাধ্যমে সরকারের ওপর সমাজ ও আন্তর্জাতিক মিত্রদের ভরসা বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

পদত্যাগ করা কর্তাদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের উপপ্রধান কিরিলো তিমশেঙ্কোর নামও আছে। নিজের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে তিমশেঙ্কো তার উপর ভরসা রাখায় ও ভালো কাজের সুযোগ দেওয়ায় প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান। পোস্টে হাতে লেখা পদত্যাগপত্র প্রকাশ করলেও এর কারণ তিনি উল্লেখ করেননি। ক্ষমতায় থাকাকালীন তিমশেঙ্কোর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ ছিল। গত বছরের অক্টোবরে ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা হিসেবে আসা একটি গাড়িতে চড়তে দেখা যায় তাকে।

মঙ্গলবার কিয়েভের ডেপুটি প্রসেকিউটর জেনারেল ওলেকসি সিমোনেনকোও কোন কারণ উল্লেখ না করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি ইউক্রেনের এক ব্যবসায়ীর গাড়ি ব্যবহার করে স্পেনে ছুটি কাটানোর অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া কয়েকদিন আগেই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অবকাঠামো উন্নয়ন উপমন্ত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

গত সোমবার প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সরকারি কাজ ছাড়া কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘তারা (কর্মকর্তা) যদি এখন বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন মনে করে, তবে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিক।’

সূত্র: কালের কণ্ঠ