দুর্গাপুর হাসপাতাল মোড়ে হাঁটু পানি, কোটি টাকার ড্রেন কাজে আসছে না

গোলাম রসুল :

রাজশাহী দুর্গাপুর সদরে প্রধান সড়কের পাশ দিয়ে অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেন নির্মাণ করায় ড্রেনটি কোন কাজে আসছে না পৌরবাসীর। বর্তমানে ওই ড্রেন পৌরবাসীর পথের কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে। ড্রেনের পাশে সড়কের উপরে জমে থাকছে হাটু পানি। ফলে পথচারি ও পৌরবাসী পড়েছে বিপাকে।

সাম্প্রতিক দুর্গাপুর প্রধান সড়ক ঘেষেঁ নির্মাণ করা হয় ড্রেন। স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন কোনপ্রকার মাষ্টার প্ল্যান ছাড়াই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তাদের ইচ্ছেমত যত্রতত্র ও অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেনটি নির্মাণ করেছেন। আর এই অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মানের ফলে খেসারত দিচ্ছেন পৌরবাসী।

এই ড্রেন নির্মাণ কাজের দেখভাল করেছেন দুর্গাপুর পৌরসভার কর্তৃপক্ষ। তবে দুর্গাপুর পৌরসভা অর্থনীতিক বা টেন্ডারের সাথে জড়িত ছিলো না। ড্রেনগুলো সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত জুন মাসে হঠাৎ করে দুর্গাপুর সদর টেলিফোন এক্সচেঞ্জ থেকে প্রধান সড়ক ঘেষেঁ শুরু করা হয় ড্রেন নির্মাণের কাজ। যা অতি অল্প দিনের মধ্যে উপজেলা মোড় হয়ে বাজার ব্রিজ এবং সিংগা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় গেইট হতে কাদেরের ওয়ার্কসপ পর্যন্ত খণ্ডখণ্ড ভাবে প্রায় ৮০০ ফুট লম্বা ড্রেনগুলো নির্মাণ করা হয়। আর এই ড্রেন নির্মাণ করেন মের্সাস আমিনুল হক এ্যান্ড ব্রাদার্সসহ দুইটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ড্রেনগুলো। এমন হুটহাট করে ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় প্রথম থেকে পৌরবাসীর মাঝে দেখা দেয় বিরুপ প্রতিক্রিয়া। প্রতিটি ড্রেন সড়ক থেকে প্রায় তিন ফিট উঁচু করে নির্মাণ করা হয়েছে। এমন অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণের কারনে পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন সঠিক সুষ্ঠু পরিকল্পনামাপিক ড্রেনগুলো নির্মাণ করা হয়নি। যেমন তেমন ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ড্রেনগুলো। কোন পথে কিভাবে ড্রেনগুলো যাবে এমন পরিকল্পনা মাফিক কাজ করলে আজ জনসাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। দুর্গাপুর হাসপাতাল মোড়ে অবস্থিত ব্যবসায়ী কাউসার আহম্মেদ সুজন বলেন, রাস্তা থেকে প্রায় তিন ফিট উঁচু করে ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। যার কারনে ওই ড্রেনগুলো পানি নিষ্কাশনের কোন কাজে আসছে না। ফলে হাসপাতাল মোড়ে একটু বৃষ্টি হলেই হাটু পানি জমে থাকছে। অটো চালক শামিম বলেন, রাস্তার উপরে জমে থাকায় পানির কারনে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। অথচ এই পনি নিষ্কাশনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে কোটি টাকার ড্রেন। কিন্তু ড্রেনগুলো কোনই কাজে আসছে না আমাদের।

এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহেল রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আসিফএর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলা হলে তিনি জানান, আমরা যথা নিয়মেই ড্রেনের কাজ শেষ করেছি। এবং বিলও উত্তোলন করা হয়েছে। ড্রেন দিয়ে পানি না নামলে আমরা কি করবো।

ঠিকাদার শাহিনের সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, দুর্গাপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা যথা নিয়মেই ড্রেনের কাজ সম্পন্ন করেছি। কোন প্রকার অনিয়ম করা হয়নি। এবিষয়ে দুর্গাপুর পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী শাহাবুল হক বলেন, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন ড্রেনের কাজ করেছে। আমরা শুধু সার্বিক সহযোগিতা করেছি। সম্পূর্ণ দায়িত্ব ছিলো তাদের।

স/রি