দুর্গাপুরে বিএনপির অন্তর্দ্বন্দ্বে দুই মেরুতে পালন হল জিয়াউর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী

দুর্গাপুর প্রতিনিধি:

রাজশাহী দুর্গাপুরে বিএনপির অন্তর্দ্বন্দ্বে দুই মেরুতে পালন হল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদৎ বার্ষিকী। সোমবার বিকেলে দুর্গাপুর ধান হাটার পাশে বিএনপি’র  নেতা জার্জিস হোসেন সোহেলের কার্যালয়ে জিয়াউর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী পালন করেন রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদের সমর্থিত নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট নাদিম মোস্তফার সমর্থিত নেতাকর্মীরা পালন করেন দুর্গাপুর পাইলট স্কুলের পুর্ব পাসে একটি ভনের ছাদে। তারা পৃথক ভাবে জিয়াউর রহমানের এই ৪১তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও মিলাদ মাহফিল করেন।

জেলা বিএনপির আহব্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের সমর্থিত নেতাকর্মীদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসার ফারুক ইমাম সুমন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জুবায়ের, যুগ্ন আহব্বায়ক আয়নাল হক, সদস্য মাইনুল ইসলাম রঞ্জু, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ন আহব্বায়ক ওমর ফারুক, জেলা যুবদলের সদস্য মাসুদ রানা মাসুম, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার ডিকো, পৌর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন টুটুল।

অন্যদিকে জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট নাদিম মোস্তফার সমর্থিত নেতাকর্মীদের আয়োজিত দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন
উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক কামরুজ্জান আয়নাল,উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদুর মুন্টু, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আজিজ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সাবেক নওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ রেজাউল করিম রেজা, সাবেক পানানগর চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবিন, সাবেক কিসমত গনকৈড় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা প্রমূখ।

এদিকে দুটি স্থানে জিয়াউর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী পালন করা নিয়ে নিজ দলের কর্মীদের মাঝে দেখা গেছে নানা জল্পনা-কল্পনা। কর্মীরা বলছেন দলের এই সঙ্কট মুহূর্তে নিজ দলের মধ্যে যদি এরকম গ্রুপিংএর মাধ্যমে যদি দুইটি স্থানে জিয়াউর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী পালন হয় তা হলে এরমত দুঃখজনক আর কিছু নেই। কর্মীরা তাহলে কোন গ্রুপে গিয়ে যোগ দিবে। তারা মনে করেন অতি দ্রুত এই গ্রুপিংয়ের হাত থেকে যদি নেতাকর্মীরা বের হয়ে না আসতে পারে তাহলে আগামীতে দলকে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কায় পড়তে হবে। তারা এধরনের গ্রুপিং আর দেখতে চান না।