দুর্গাপুরে বর্ষণেও থেমে নেই পুকুর খনন

দুর্গাপুর প্রতিনিধি : দুর্গাপুরে অপরিকল্পিত পুকুর খননের ফলে চারি দিকে যখন ভারী বর্ষণে পানেরবরজ, রোপা আমন ও শাক-সবজির ক্ষেত পানিতে ডুবে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময় উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে  দুর্গাপুর আলীপুরে যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম পুকুর খনন করে চলেছেন।

তিনি গত তিন সপ্তাহ থেকে জমির শ্রেণী বদল করে তিন-চার ফসলি কৃষি জমিতে প্রায় ৬০ বিঘা আয়তনের পুকুর খনন করে চলেছেন। কোন প্রকার অনুমতি না নিয়েই তিনি প্রশানকে ম্যানেজ করে পুকুর খনন করছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। ওই পুকুর খননের ফলে পাশে শত শত বিঘা ফসলী জমি অনাবাদি হয়ে পড়বে।

দুর্গাপুরে এভাবে পুকুর খনন চলতে থাকলে আগামিতে আশঙ্কজনক হারে ফসলি জমি শুন্যেরকোটায় নেমে যাবে বলে মনে করেন এই উপজেলার সচেতন মানুষ। আর এই অপরিকল্পিত পুকুর খনের কারণে হাজার হাজার বিঘা আবাদি জমি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার আলীপুর ও নওপাড়া বিলে প্রভাবসালী যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ও আলাউদ্দিন নামের দুই ব্যক্তি চাষিদের মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ৩-৪ ফসলি জমি নষ্ট করে বড় বড় আয়তনের পুকুর খনন করে চলেছেন। সরেজমিনে উপজেলার আলীপুর বাজারের পাশে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়।

সেখানে প্রায় ৬০ বিঘা আয়তনের পুকুর খনন করছেন প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ও আলাউদ্দিন নামের দুই ব্যক্তি। ফলে ওই পুকুর খননের ফলে পাশের আবাদি জমির ফসল জলবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। সম্প্রতি চাষিদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শফিকুলের পুকুর থেকে পুকুর খননের এক্সেভেটর ভেকু মেশিনের চাবি নিয়ে চলে যায় থানা পুলিশ। পরে সেই চাবি এক সপ্তাহ না যেতেই দিয়ে দিতে হয় তাদের।

একটি পক্ষ বলছে প্রশাসন ও স্থানীয় কিছু নেতাদেরকে ম্যানেজ করে তিনি বহাল তবিয়তে চলিয়ে যাচ্ছেন পুকুর খনন কাজ। ওই শফিকুলের খুঁটির জোর কোথায় এমন প্রশ্ন ওঠেছে সাধারণ চাষিদের মাঝে।

পুকুর খনন বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসীন মৃধা বলেন, পুকুর খনন বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে কেউ যদি অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করে থাকে তা হলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।