দুর্গাপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুকুর জবরদখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলার ৪ নম্বর দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রেন্টুর বিরুদ্ধে ৭৬ বিঘার একটি পুকুর জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পুকুর মালিকরা সোমবার (৮ জুলাই) দেলুয়াবাড়ী ইউপির আংরার বিলে ওই পুকুরের পাড়ে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধনে তারা অভিযোগ করেন, পুকুর লিজের (ইজারা) চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও জোরপূর্বক দখল ও কৃষকের কাছ থেকে লিজ নেয়ার ডিড (চুক্তি) জালিয়াতি করে ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রেন্টু পুকুরটি জবর দখল করে রেখেছেন।একই অভিযোগে গত ১ আগস্ট ৪ নং দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রেন্টুর বিরুদ্ধে দূর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগও দেন পুকুর মালিকরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দূর্গাপুর উপজেলার ৪ নম্বর দেলুয়াবাড়ী গ্রামের আংরার বিলে কৃষকদের ৭৬ বিঘার একটি পুকুর ১০ বছর আগে ৬০ জন কৃষকের কাছে থেকে ১০ বছরের জন্য লিজ নেন দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রেন্টু লিজ নেন। সেই সময় মাত্র ৯ হাজার টাকা বিঘা প্রতি বছর চুক্তিতে চেয়ারম্যান রেন্টু লিজ নেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হলেও এখনো জমি ফেরত পাননি মালিকরা।

মালিকরা মানববন্ধনে জানান, লিজের মেয়াদ শেষ হলেও চেয়ারম্যান রেন্টু জোর করে দখল করে রেখেছে আমাদের পুকুর। তাছাড়া বর্তমান বাজারে ৫০ হাজার টাকা বিঘা প্রতি বছর হিসাবে চুক্তি হচ্ছে এমন একাধিক পুকুর এলাকায়। প্রায় ৬০ জন কৃষকের জমি চেয়ারম্যান রেন্টু জালিয়াতি ও জবর দখল করে তার ক্ষমতার বলে দখল করে রেখেছে। উল্টো হুমকির মুখে রেখেছেন পুকুর মালিক কৃষকদের।

এ বিষয় যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করে রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলার ৪ নম্বর দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রেন্টু বলেন, বৈধভাবেই পুকুর আমার দখলে আছে। ডিডেরও টাইম আছে। আমি সব সংস্থাকেই ডকুমেন্ট দিয়েছি। বরং যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বেড়াচ্ছে তাদের কাগজপত্র ভুয়া।

জি/আর