বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ধাপ সুলতানগঞ্জ হাটে প্রবেশ সড়কটির বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এই সড়কের কার্পেটিং ও খোয়া উঠে খানা-খন্দে সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি নামলেই গর্তগুলো পানিতে ভরে যায়। ফলে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগের সাথে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ ও যানবাহনগুলো।
জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার উত্তরে ঐতিহ্যবাহী ধাপ সুলতানগঞ্জ হাট অবস্থিত। বগুড়া-নওগাঁ সড়কের পাশে হাটটির অবস্থান হওয়ায় হাটে প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মেইল বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার ধাপহাট সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শনিবার(১৭ আগস্ট) সরেজমিনে সড়কটি ঘুরে দেখা গেছে, বগুড়া-দুপচাঁচিয়া ভায়া মোলামগাড়ী সড়ক নামে পরিচিত এই সড়কটির অবস্থা বর্তমানে চলাচল অযোগ্য। মেইল বাসস্ট্যান্ড থেকে ১ কিলোমিটার সড়কটির কার্পেটিংয়ের পাথরসহ খোয়া উঠে গিয়ে ছোট বড় শত শত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। বর্ষার মৌসুমে সামান্য একটু বৃষ্টিতেই গর্তগুলোতে পানি জমে থাকছে। এছাড়া সড়কটির দু’পাশে কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছেনা। ফলে মুষলধারে বৃষ্টিতে রাস্তার উপর দিয়েই পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতারা ছাড়াও সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
দুপচাচিয়া উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী ধাপহাট। এ হাটটি বৃহস্পতিবার ও রবিবার সপ্তাহে দু’দিন বসে। হাটবারগুলোতে শুধু উপজেলাই নয়, বগুড়া জেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে মানুষরা এই হাটে কেনাকাটার জন্য আসেন। বিশেষ করে কোরবানির হাটগুলোতে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলার গরু ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা হাটে ভিড় করছে। বিশেষ করে হাট থেকে কুরবানির গরু, ছাগল ক্রয় করে ভটভটি, ট্রাক বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বহনের সময় এই দুর্ভোগ আরও বেশি। অনেক সময় খানা-খন্দে ভড়া এসব গর্তে ট্রাক ভটভটি আটকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। হাটটি দুপচাঁচিয়া পৌরসভার রাজস্ব আয়ের একটি বড় মাধ্যম। প্রতি বছর হাট ইজারা থেকে প্রায় ৮ কোটি টাকা পৌরসভা রাজস্ব আয় করে থাকে।
দুপচাঁচিয়া সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোয়াজ্জিম হোসেন জানান, মেইল বাস্ট্যান্ড ধাপহাট সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। ধাপহাট পৌরসভার রাজস্ব আয়ের একটি বড় মাধ্যম। অথচ রাস্তাটির উন্নয়নে পৌরসভা উদাসীন। তিনি রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. রুবেল হোসেন জানান, দুপচাঁচিয়া মেইল বাসস্ট্যান্ড থেকে ধাপসুলতানগঞ্জ হাটে প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি ইতিপূর্বেই স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের আওতায় ছিল। পরবর্তীতে সড়কটি দুপচাঁচিয়া পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়। যার ফলে পৌর এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের উন্নয়নমূলক কাজ করার বিধান নেই।
বিষয়টি জানতে দুপচাচিয়া পৌর মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জন দূর্ভোগ কমাতে দ্রুতই সড়কটি সংস্কার কাজে টেন্ডার আহবান করা হবে। আশা করি এ অর্থ বছরেই সড়কটি চলাচলযোগ্য হবে।