দুই যুগের অপেক্ষা ঘোচাতে ইংল্যান্ডের ‘দুর্বলতা’ জানে পাকিস্তান

ইংল্যান্ডের মাটিতে এখনও পর্যন্ত ১৫টি সিরিজ খেলেছে পাকিস্তান। যার মধ্যে জিতেছে মাত্র ৩টি আর হেরেছে ৭টি। ইংলিশ সফরে এসে তাদের সবশেষ সিরিজ জয় দুই যুগ আগে, ১৯৯৬ সালে। তবে ইংল্যান্ডের মাটিতে সবশেষ দুই সিরিজে ড্র করেছে পাকিস্তান।

সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এবারের সফরে সিরিজ জিতেই দেশে ফেরার কথা জানিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক আজহার আলী। শুধু গত দুই সিরিজের অনুপ্রেরণা নয়, আজহার আলীর নজরে আছে ইংল্যান্ডের দুর্বলতাও। যা কাজে লাগাতে চায় তার দল।

করোনা সংকট কাটিয়ে মাঠে ফেরার লক্ষ্যে রোববার ইংল্যান্ডে গিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এ সফরে তারা খেলবে তিন টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টি। টেস্ট অধিনায়ক আজহার আলী আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই জানিয়েছেন সিরিজ জেতার সামর্থ্য তার দলের রয়েছে। শুধু ব্যাটিংটা ভালো হলেই হবে।

শুধু নিজেদের নিয়েই ভাবেননি আজহার, তার ভাবনার জায়গায় রয়েছে ইংল্যান্ডের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও। গত দেড়-দুই বছরে ইংল্যান্ডের ভঙ্গুর টপঅর্ডার ব্যাটিংকে নিজেদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে চায় পাকিস্তান। আর তা হলে সিরিজ জয়ও সহজ হবে বলে মনে করেন আজহার।

ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরুর আগে সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘ঘরের মাঠ ও কন্ডিশনে ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণ অসাধারণ। এতে সন্দেহ নেই। জোফরা আর্চার ছাড়া বাকিরা- ব্রড, অ্যান্ডারসন, ওকস, স্টোকস, এমনকি উডও, ওদের আমরা খেলেছি এবং জিতেছিও।’

‘তবে তাদের ব্যাটিং লাইনআপের দিকে তাকান, অ্যালিস্টার কুক অবসর নেয়ার পর তাদের টপঅর্ডার বেশ ভঙ্গুর। গত ম্যাচগুলোতে তারা অনেকভাবেই চেষ্টা করেছে কিন্তু সফল হয়নি। এ জায়গাটি নিয়ে তারা খুব বেশি আত্মবিশ্বাসী মনে হয় না। তাই এটিকে আমরা সুযোগ হিসেবে নিতে পারি।’

আজহারের মন্তব্য পুরোপুরি যথার্থ। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর টেস্টকে বিদায় জানিয়েছেন কুক। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত খেলা ১৮ টেস্টে ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন ওপেনিং জুটি ব্যবহার করেছে ইংল্যান্ড। কোন জুটি ৯ বারের বেশি একসঙ্গে ইনিংসের সূচনা করতে পারেনি।

এখনও পর্যন্ত ওপেনার হিসেবে নিজের জায়গাও নিশ্চিত করতে পারেননি কোন ব্যাটসম্যান। ধারণা করা হচ্ছে, ররি বার্নস নিজেকে এ জায়গায় পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন। তবে তার রয়েছে মাত্র ১৫টি টেস্টের অভিজ্ঞতা। এছাড়া ডম সিবলি, জো ডেনলি এবং জ্যাক ক্রাওলির মধ্যে হবে অন্য জায়গার লড়াই।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ