দুই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পণ্যসামগ্রী মোংলায়

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আমদানি করা কয়লার প্রথম চালান নিয়ে আজ শুক্রবার মোংলায় ভিড়েছে এমভি আকিজ হেরিটেজ নামের একটি বাণিজ্যিক জাহাজ। ৩৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে এদিন বন্দরের হারবাড়িয়া ১১ নম্বরে নোঙ্গর করে জাহাজটি।

জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকের ম্যানেজার খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, ‘রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা কয়লার প্রথম চালান আজ মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে। চালানটি বন্দরের হরবারিয়া এলাকা থেকে লাইটার যোগে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছানো হবে।’

রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আনোয়ারুল আজীম বলেন, ‘আমদানি করা এই কয়লা দিয়ে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে পরীক্ষামূলক ভাবে কয়লাভিত্তিক রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানো হবে। এরপর অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র।’

এদিকে একই দিন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য দ্বিতীয় চালান নিয়ে লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ এমভি ড্রাগন বল পাঁচ হাজার ৬০১ মেট্রিক টন মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরের হারবারিয়ার ৭ নম্বর বয়ায় নোঙ্গর করে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতিতে মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমন স্বাভাবিক রয়েছে। আজ রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই এমভি আকিজ হেরিটেজ নামের একটি জাহাজ বন্দরে এসেছে। আর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য পাঁচ হাজার ৬০১ মেট্রিক টন মালামাল নিয়ে এমভি ড্রাগনবল নামের আরও একটি জাহাজ বন্দরে ভিড়েছে।’

বন্দর চেয়ারম্যান জানান, দেশের বৃহৎ দুটি মেগা প্রকল্পের মালামাল দেশে আসার ফলে নবযুগের সূচনার সাক্ষী হয়ে থাকলো মোংলা বন্দর।

রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্র জানায়, দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে মোংলা-খুলনা মহাসড়কের পাশে রামপাল উপজেলার সাপমারী-কাটাখালী ও কৈর্গদাশকাঠী এলাকায় এক হাজার ৮৩৪ একর জমির ওপর কয়লা ভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই লক্ষ্যে ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে একটি সমঝোতা সই হয়।

এরপর ২০১২ সালে ২৯ জানুয়ারি দুই দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কোম্পানি বিপিডিবি ও এনপিপিসি যৌথ কোম্পানি গঠন করে। ২০১২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় নির্মাণ কাজ। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে মোট ১৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এখান থেকে দুই ইউনিটে ৬৬০ মেগাওয়াট করে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা রয়েছে। যেটি আগামী অক্টোবরে উৎপাদনে আসবে এবং জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। আর দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০২৩ সালে উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে।

সূত্র: আমাদের সময়