দিল্লিতে সন্তানের সামনেই গলায় ফাঁস নিয়ে বাবা-মায়ের আত্মহত্যা

৯ মাসের দুধের শিশু রেখেই ভারতে এক দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

পারিবারিক অশান্তির কারণে সন্তানের সামনে তারা গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন।

শনিবার ভোরে দিল্লির নয়ডা শহরের একটি ফ্ল্যাট থেকে ওই দম্পতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আত্মঘাতী দম্পতি হলেন- নিখিল ও পল্লবী। নিখিল একটি হুজাতিক সংস্থার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময় জানিয়েছে, ইন্দিরাপুরমের ফ্ল্যাট থেকে শনিবার ভোররাতে ওই দম্পতির লাশ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, ওই দম্পতি শুক্রবার রাতে আত্মহত্যা করেছেন।

পুলিশ সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়, ভোরে নিখিল ও পল্লবীর লাশ ফ্ল্যাটের দুটি পৃথক ঘরে সিলিং ফ্যানে ঝুলছিল। এক প্রতিবেশী তা দেখতে পেয়ে, নিখিলের বোন অঞ্জলিকে ফোন করেন।

এরপর বোনই ফোনে পুলিশকে ঘটনার কথা জানালে, পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে।

নিখিলের বোন অঞ্জলি জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে তার ভাইয়ের একটি মেসেজ পেয়েছিলেন। মেসেজ দেখে তার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।

ইন্দিরাপুরম সার্কলের ডেপুটি পুলিশসুপার এমএস অংশু সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অশান্তির জেরেই সম্ভবত যুগলে আত্মহত্যা করেছেন। এক বছর হয়েছিল তাদের বিয়ের। এই দম্পতির ৯ মাসের পুত্র সন্তানকে ওই ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে।

এই বিয়ে নিয়েই পারিবারে মনোমালিন্য কি না, পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে। আবার লকডাউনের কারণে আর্থিক সংকটে পড়ে তারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন কিনা, সেই সম্ভাবনাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

ডেপুটি পুলিশসুপার জানান, ঘটনার আগের রাতেই নিখিল তার বোন অঞ্জলিকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ করেন। বোনের কাছে অনুরোধ করেন, তাদে ৯ মাসের সন্তানের দায়িত্ব নিতে। পরদিন সকালে বোন যেন একাই আসে, সে অনুরোধও করেন ওই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।

 

সুত্রঃ যুগান্তর