দাফনকালে জানা গেল মৃত তাঁর স্ত্রী, ১১ দিন আগে হয় বিয়ে!

গোপালগঞ্জে স্ত্রীর পরিচয় গোপন করে লাশ দাফন করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা খেলেন চট্রগ্রাম রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম ও তাঁর সহযোগী  লিওন সাহা। মৃত নারীর নাম উম্মে সাইয়েদা (২৩)। তিনি প্রকৌশলী মো. শাহ আলমের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। তিনি চলতি মাসের ১৩ জানুয়ারি সাইয়েদাকে বিয়ে করেছেন বলে জানিয়েছেন শাহ আলম।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার খুব ভোরে লাশ দাফন করার জন্য গাজীপুর থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে গোপালগঞ্জ মার্কাস এলাকার পৌর কবরস্থানে আনা হয়। এর আগে রাতেই কবর খুঁড়ে রাখা হয়েছিল।

কবরস্থানের রেজিস্ট্রার মো. মিজানুর রহমান বলেন, মৃত নারীর পরিচয়পত্র অনুযায়ী পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু লাশের পরিচয় দিতে রাজি হননি রেলওয়ে অফিসার শাহ আলম ও তাঁর সহযোগী লিওন সাহা। তাঁরা কবর থেকে দ্রুত লাশ উত্তোলন করে আবার অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

পুলিশ এসে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রকৌশলী মো. শাহ আলম ও তাঁর সহযোগী  লিওন সাহাকে থানায় নেয় পুলিশ।

এ ব্যাপারে রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ আলমের (৪৭) জানান, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার ছেলে লিওন সাহা। তাঁর মাধ্যেমে তিনি বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা গ্রামের উম্মে সাইয়েদা (২৩) নামের ওই নারীকে ১১ দিন আগে বিয়ে করেন। দুই দিন আগে হঠাৎ সাইয়েদা মৃত্যুবরণ করেন। বিষয়টি প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের কাছে লুকানোর জন্য তিনি তাঁর সহযোগী লিওনের মাধ্যমে লাশ দাফনের জন্য গোপালগঞ্জে নিয়ে আসেন।

চট্রগ্রাম রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ আলমের বাড়ি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার শাহদৌলতপুর গ্রামে এবং তাঁর সহযোগী লিওন সাহার বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি গ্রামে।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, সন্দেহভাজন ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। মৃত নারীর অভিভাবক ও প্রকৌশলীর প্রথম পক্ষের স্ত্রী-সন্তানদের খবর দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ