রবিবার , ২০ অক্টোবর ২০২৪ | ৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

‘দলে সিন্ডিকেট নেই, কেউ করলে নিজের ক্ষতি করবে’

Paris
অক্টোবর ২০, ২০২৪ ৭:১১ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে খেলেও এক গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে ১০ জনের কম্বোডিয়াকে দাপট দেখালেও গোল মিসের পসরা সাজায়। আর এই ফাঁকে স্বাগতিকরা প্রতি আক্রমণ থেকে গোল করে বাংলাদেশকে হারের যন্ত্রণায় ভাসিয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, সাইফুল বারী টিটুর অধীনে পুরো দল হিসেবে খেলতে পারেনি সবাই। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা প্রবাসী আরহাম ইসলামকে নিয়ে একাদশ সাজানো হলেও সতীর্থদের কাছ থেকে এই ফরোয়ার্ড মাঠে কতটকু সহযোগিতা পেয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে স্পোর্টস পেজগুলোতে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে।

আরহাম খেলেছেন বাঁ উইংয়ে। শুরুর দিকে মধ্যমাঠ থেকে দুয়েকটি পাস পেলেও এরপর ফাঁকায় তার কাছাকাছি থেকেও হঠাৎ করে ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে যেতে দেখা গেছে, সেটা হয়েছে বারবারই। বল বারবার চেয়েও আরহাম আক্রমণে নেতৃত্ব দিতে পারেননি!

অথচ শুরু থেকে আরহামকে মার্কিং করে বাধা দেওয়ার কারণে কম্বোডিয়া লাল কার্ড দেখেছিল। তিনি ড্রিবল করে দ্রুতগতিতে বল নিয়ে সামনে এগোনোর চেষ্টা করেও সবার দৃষ্টি কেড়েছেন। যদিও সেটপিসে অংশ নিয়ে গোল করতে পারেননি।

আবার দ্বিতীয়ার্ধের একটা সময় আরহামকে সাব করার পর ডান-বাম দুই দিক থেকেই আক্রমণ করেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের এমন অবস্থা দেখে সমর্থকরা অনেকেই ক্ষুব্ধ। গোল করে জেতার সুযোগ থাকলেও ম্যাচ হারা মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। এনিয়ে কোচ টিটুর সঙ্গে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন ধরেননি।

দলের ম্যানেজার জাহিদ হাসান এমিলি অবশ্য বাংলা ট্রিবিউনের কাছে ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে, ‘যদি দলে কেউ সিন্ডিকেট করে থাকে। তাহলে ভালো করছে না। তারা নিজেরাই ক্ষতি করছে। আরহাম অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশের হয়ে খেলতে এসেছে। ওর টেকনিক্যাল দিকগুলো ভালো। মাঠে খারাপ খেলেনি। আমাদের কোচের নির্দেশনা ছিল দুই উইং থেকে আক্রমণ শানাতে। কিন্তু তা আদতে হয়নি। ডান উইং ব্যবহার হয়েছে বেশি। এখন কেউ যদি দেশের জন্য না খেলে, শুধু নিজেদের জন্য খেলে, তাহলে তা হবে ভুল।’

এমিলি তার প্রত্যাশার কথা জানালেন, ‘আমাদের সামনে তিনটি ম্যাচ রয়েছে। এমনিতে আমরা জেতা ম্যাচ হেরেছি। দলের কেউ কেউ আছে ভালো খেলোয়াড়। কেউ কেউ তো কাকে পাস দেবে বুঝতে পারছিল না। হয়তো ফুটবলীয় মেধা কম। আমার মনে হয় সামনে সবাই এক হয়ে খেলতে পারলে ফল খারাপ হবে না। আরহাম ও ম্যাচ নিয়ে আমরা আজই বিশ্লেষণ করবো। এমন যদি হয়ে থাকে তা নিয়েও কথা বলবো। ওদের বয়স কম। এখনই শোধরাতে হবে। যেন সামনের দিকে ভালো হয়।’

এরপর নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেছেন, ‘ফেসবুকে ইদানিং কেউ কেউ বলছে খেলোয়াড়ি জীবনে আমি নাকি সিন্ডিকেট করে খেলেছি। দলে এনামুল হক, আমি স্ট্রাইকার ছিলাম। এনামুলকে নাকি আমি বল দেইনি। গোল আমি করেছি। অথচ আমার পাসে এনামুল তিনটি গোল করেছে, তা হয়তো অনেকেই জানে না। আমরা দুজন একই রুমে থাকতাম। ওর সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক।’

 

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

সর্বশেষ - খেলা