দলের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের কারণেই প্রধানমন্ত্রী আমাকে সমর্থন দিয়েছেন : মীর ইকবাল

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন-আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল


 

আমজাদ হোসেন শিমুল:

আসন্ন রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সেই সাথে তাঁর সম্মান যেন অক্ষুণ্ন রাখতে পারি তার জন্য আপনার সবাই দোয়া করবেন। আসলে আওয়ামী লীগের সাথে আমার দীর্ঘদিনের প্রেম। সেই প্রেমের স্বীকৃতি স্বরূপ বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমাকে সমর্থন দিয়েছেন।’

গতকাল বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে আসন্ন রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে জেলার গোদাগাড়ী, তানোর, মোহনপুর ও দুর্গাপুর উপজেলার অন্তর্গত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দের সাথে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালের এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই কথা বলেন।

তিনি উপস্থিত ভোটারদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘মীর ইকবালের বিজয় মানেই আওয়ামী লীগের বিজয়, প্রধানমন্ত্রীর বিজয়। এজন আপনাদের সবার সমর্থন ও সার্বিক সহযোগিতা আমার একান্ত প্রয়োজন। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলে আমার দুয়ার সবসময় আপনাদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আমি আমৃত্যু আপনাদের পাশে থেকে অতীতের ন্যায় কাজ করে যেতে চাই। অতীতের যে কোন সময়ের থেকে জেলা পরিষদকে কার্যকরি করে গড়ে তুলবো ও রাজশাহীর সার্বিক উন্নয়নে জেলা পরিষদ যেন কার্যকরি ভূমিকা রাখতে পারে সেজন্য কাজ করে যাবো।’

চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে দায়িত্ব পালনের অঙ্গিকার করে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা আরও বলেন, ‘সরকার প্রদত্ত যে বরাদ্দ আসবে আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে তার সুষম বণ্টন করবো। আমি সততা ও নিষ্ঠার সাথে আমি বাঁকি জীবন পার করতে চাই। আপনাদের উপস্থিতি ও আপনাদের মতামত আমাকে আগামী দিনের প্রেরণা যুগিয়েছে। আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে আমি বিজয়ী হবো ইনশাল্লাহ।’

সভায় বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নিবেদিত তৃণমূল থেকে উঠে আসা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়ে আমাদের রাজশাহীবাসীকে সম্মানিত করেছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনিত প্রার্থী মীর ইকবালকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সম্মান আমরা ধরে রাখবো।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মানজাল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টু, জেলা যুবলীগ সভাপতি আবু সালেহ, গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, বাধাইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি মিয়া, চড় আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসরাফুল ইসলাম, গোদাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসিদুল গনি, মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সম্রাট, দেলুবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম, জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী এবং জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেছেন। সুতরাং সেই প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান কর্তব্য। জননেত্রী শেখ হাসিনা ও দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধাচরণ করা মানে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধাচরণ করা। কাজেই যারা দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘দলের বিরুদ্ধাচরণ করে যিনি জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তাকে রাজনৈতিকভাবে বয়কট করে ব্যালেটের মাধ্যমে জবাব দিয়ে আগামী ১৭ অক্টোবর জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনিত প্রার্থী মীর ইকবালকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদটি আমরা উপহার দিবো।’

সভায় বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নিবেদিত তৃণমূল থেকে উঠে আসা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়ে আমাদের রাজশাহীবাসীকে সম্মানিত করেছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনিত প্রার্থী মীর ইকবালকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সম্মান আমরা ধরে রাখবো।

বক্তারা আরো বলেন, এই নির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগের পদে আসীন হয়ে আওয়ামী লীগ ও দেশরত্ন শেখ হাসিনা মনোনিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান করবে তাদের আমরা রাজনৈতিক ভাবে প্রতিহত করে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সমুচিত জবাব দিবো।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম আসাদুজ্জামান আসাদ-এর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমানুল হাসান দুদু, জাকিরুল ইসলাম সান্টু, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহ্ফুজুল আলম লোটন, রেজাউল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রদ্যুৎ কুমার সরকার, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. চিন্ময় কান্তি দাস, মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, সদস্য আশরাফ উদ্দিন খান, আলিমুল হাসান সজল, হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলে রেজি আল হাসান মুঞ্জিল, বাসুদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলাম, দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন, মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা, পাকরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন, রিশিকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম টুলু, কলমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাদেমুন নবী চৌধুরী, পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দীন বাবু, চাঁন্দুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, সরনজাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খান, ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, মৌগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল-আমিন বিশ্বাস, বাকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল আলম, কিসমতগনকৌড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কালাম আজাদ, পানানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহার আলী, ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতার আলী, জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএইচ/এস