দক্ষিণ আফ্রিকার তারকার ব্যাটে ইতিহাস গড়ল নামিবিয়া

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আজ আবুধাবির শেখ আবু জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে নেদারল্যান্ডস আর নামিবিয়ার। আজ যে দল হারবে, তাদের বিদায় বলতে গেলে নিশ্চিত।

কারণ দু দলই একটি করে ম্যাচ হেরে গেছে। শ্রীলংকা বিপক্ষে হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে নামিবিয়ার। আর আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরেছে নেদারল্যান্ডস।

এমন সমীকরণকে সামনে রেখে দুর্দান্ত ব্যাট করেছে নেদারল্যান্ডসের ওপেনার ম্যাক ও’দাউদ।

এই ওপেনারের ব্যাটে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ করেছে নেদারল্যান্ডস।

৫৬ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৭০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। তার অনবদ্য ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে ডাচরা।

১৬৫ রানের তাড়ায় দুর্দান্ত খেলেছেন নামিবিয়ার অলরাউন্ডার ডেভিড ওয়াইজ। ৪০ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন তিনি।

তার দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ১ ওভার বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নামিবিয়া। ৬ উইকেটে নেদারল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে নামিবিয়া।

এর আগে কোনো বিশ্বকাপ মঞ্চে কোনো জয় ছিল না নামিবিয়ার। ২০০৩ সালে শেষবারের মতো বিশ্বকাপে এসে ৬ ম্যাচ খেলে একটিতেও জয় পায়নি তারা।

এবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো জয়ের স্বাদ পেয়ে গেল ‘দ্য ঈগলরা’।

এ ইতিহাস গড়া জয়ের অন্যতম নায়ক দক্ষিণ আফ্রিকার বংশোদ্ভূত অলরাউন্ডার ডেভিড ওয়াইজ। তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের পাশপাশি ছোট ছোট ইনিংস খেলে জয়ে ভূমিকা রেখেছেন টপ ও মিডল অর্ডারের বাকি ৫ ব্যাটার।

এদের মধ্যে দুর্দান্ত ব্যাট করেছেন অধিনায়ক গারহার্ড এরাসমাস। ৪ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ২২ বলে ৩২ রান করেছেন তিনি।

ডাচদের ১৬৫ রানের তাড়ায় শুরুটা খারাপ হয়নি নামিবিয়ার। প্রথম চার ওভারে ৩৩ রান তোলেন দুই ওপেনার স্টিভেন বার্ড ও জেনে গ্রিন।

৫ম ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিতে প্রথম ব্রেক থ্রু আনেন ক্লাশেন। ১৫ করে আউট হন গ্রিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে ১১ রানে সাজঘরে ফেরেন একারম্যান।

পরের ওভারেই ওপেনার স্টিভেন বার্ডকে ১৯ রানে ফেরান সিলার। তখন নামিবিয়ার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৫২ রান। এরপর থেকেই দলের হাল ধরে শেষ অবধি টেনে নিয়ে যান ডেভিড ওয়াইজ।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে দাউদের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি গড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৪ রান তোলে নেদারল্যান্ডস।

থমে ৫.৩ ওভারে দাউদের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ৪২ রান যোগ করেন স্টিফেন মাইবার্গ। ১৬ বলে ১৭ রান করে ফ্রিলিংকের বলে আউট হন তিনি।

এর দাউদের সঙ্গে জুটি বাঁধতে নামেন ওলফ ফন ডার মারউই। তবে সে জুটি দীর্ঘ হয়নি। ওয়াইজের বলে ৪ বলে ৬ রান করে বিদায় নেন মারউই।

এরপর দাউদের সঙ্গে চমৎকার জুটি গড়েন কলিন অ্যাকারম্যান। ১ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩২ বলে ৩৫ রান করে ফ্রিলিংকের বলে আউট হন অ্যাকারম্যান।

এরপর নামেন স্কট এডওয়ার্ড। ১১ বলে ২১ রানের কেমিও ইনিংস খেলে রানের গতি বাড়িয়ে দেন। ১৯.৩ বলে এডওয়ার্ড রান নিতে গেলে রানআউট হন দাউদ।

সূত্র:যুগান্তর