থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্রবিরোধীতার জন্য অভিযুক্ত বিক্ষোভকারীদের কী হবে এখন?

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

 

থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্রবিরোধিতা করাকে মোটেই ভালো চোখে দেখা হয় না। দেশটির সিংহাসনে অধিষ্ঠিত রাজা মাহা ভাজরালংকর্ন কিংবা রাজপরিবারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক কিছুকে বড় ধরনের শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে মনে করা হয়। রাজতন্ত্রের এমন সুরক্ষা দেশটির আইন দ্বারাই স্বীকৃত। এবার এই বিতর্কিত আইনের আওতায় আনা হচ্ছে সম্প্রতি বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া ১৫ জন ছাত্রনেতাকে।

‘লেজে ম্যাজেস্ট্রি ল’ নামে অভিহিত রাজতন্ত্রের রক্ষাকবচ বলে পরিচিত আইনটি নিয়ে বেশ সমালোচনা রয়েছে। এ আইনের মাধ্যমে রাজপরিবারের কাউকে হুমকি দেওয়া, অপমান করা কিংবা মানহানি করাকে শাস্তিমূলক বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, এ আইনের মাধ্যমে দেশটির প্রভাবশালী রাজপরিবারের বিরুদ্ধে যাবতীয় সমালোচনার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারো বিরুদ্ধে  এ ধরনের অপরাধ প্রমাণ হলে তার সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। এ ছাড়া যেকেউ চাইলেই কারো বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।

দেশটির সাবেক সেনা শাসক ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চ্যান ওচার পদত্যাগ, সেনা প্রভাবিত সংবিধান বাতিলসহ প্রভাবশালী রাজতন্ত্রের সংস্কারের দাবিতে বেশ কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ চলছে। এসব বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র ও যুব নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এ আইন প্রয়োগের পথে হাঁটতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। তবে বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, তারা ভীত নন, তারা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। এদিকে থাই কর্তৃপক্ষের এ বিতর্কিত আইনটির প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।

 

সূত্র: কালেরকন্ঠ