সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
তুরস্কে এর্দোয়ান সরকারের ব্যাপক দমন অভিযানের মাঝে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইয়ালদিরিম প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্ট বিলুপ্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
একটি টেলিভিশন চ্যানেলে তিনি বলেন, “ভবিষ্যতে আর প্রেসিডেন্সিয়াল রেজিমেন্ট থাকবে না। কারণ এর কোনও প্রয়োজন নেই”।
এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা দুই হাজারের বেশি। তুরস্কে গত সপ্তাহের ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার পর প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড বাহিনীর অন্তত তিনশো সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে তারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হালিস হ্যান্সিকেও আটক করেছে।
প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়িপ এর্দোয়ান ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার ষড়যন্ত্রের জন্য তার একসময়কার কাছের লোক হিসেবে পরিচিত মিস্টার গুলেনকে অভিযুক্ত করে আসছেন।
তবে কোনও ধরনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ফেতুল্লাহ গুলেন।
তবে ওই অভ্যুত্থান চেষ্টার বিফলে গেরেও এর পর থেকেই দেশজুড়ে ব্যাপক দমন অভিযান শুরু করেন প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান।
হাজার হাজার সরকারি চাকরিজীবীকে গ্রেপ্তার এবং বরখাস্ত করা হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তা , স্কুল শিক্ষক কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানসহ বহু আরও বহু মানুষকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
নতুন করে আরও অনেককেই গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
বুধবার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট ও কেবিনেটের হাতে সংসদকে পাশ কাটিয়ে নতুন আইন প্রণয়ন কিংবা অধিকার ও স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
শনিবার সরকারি বিবৃতিতে একহাজারের বেশি বেসরকরি স্কুল এবং বারোশোর বেশি সংস্থা বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
তবে শনিবারই অভ্যুত্থানে জড়িত সন্দেহে আটক হওয়া বারোশো সৈন্যকে মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে তুর্কী গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
সত্র: বিবিসি বাংলা