‘তিন-চার দিন অপেক্ষা করব, এরপর করোনা শনাক্ত শুরু করে দেব’

দেশে গত বছর ডেঙ্গুর ব্যাপক প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল। ওই বছর ডেঙ্গু পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের অনুমোদন দিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সময় নিয়েছিল মাত্র একদিন। কিন্তু করোনাভাইরাস শনাক্তে ‘জিআর কোভিড-১৯ র‌্যাপিড ডট ব্লট কিট’ নামে কিট উদ্ভাবনের প্রায় তিন মাস হতে চললেও তা অনুমোদন পাচ্ছে না ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে।

এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (২৬ মে) থেকে অভ্যন্তরীণ গবেষণা কাজের (ইন্টারনাল ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) অংশ হিসেবে নিজেদের উদ্ভাবিত কিট ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। তবে এর আগের দিন সোমবার (২৫ মে) চিঠি দিয়ে তা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানায় ওষুধ প্রশাসন। এই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে করোনা শনাক্ত স্থগিত ঘোষণা দেয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। তবে অতি দ্রুত অনুমোদন ও ওষুধ প্রশাসন সাড়া না দিলে আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে স্থগিত থাকা করোনা শনাক্ত কার্যক্রম শুরু করবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

বুধবার (২৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে একটি জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম যে, মঙ্গলবার থেকে করোনা শনাক্ত কার্যক্রম শুরু করব। তখন ওষুধ প্রশাসন থেকে আমাদের অনুরোধ করেছিল যে, এটা যেন বন্ধ রাখি। ওষুধ প্রশাসন কেন এই অনুরোধ করেছিল, তা জানি না। আমরা আরও তিন-চার দিন অপেক্ষা করব। তারপর আমরা আরম্ভ করে দেব, যা ইচ্ছা করে, করুক।’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, ‘গত বছর যখন ডেঙ্গু হয়েছিল, ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট অনুমোদন দিতে তাদের (ওষুধ প্রশাসনের) একদিন সময় লেগেছিল। আর রেমডেসিভির অনুমোদন দিতে ৭ দিন লেগেছে। রেমডেসিভির ইনজেকশন। ভালোমতো না হলে মানুষের শরীরে ইনজেকশন দেয়া অনেক বেশি বিপজ্জনক। অথচ সেটার দ্রুত অনুমোদন হয়ে গেছে। অপরপক্ষে আমাদেরটা তিন মাস লাগিয়ে দিয়েছে। এখনও এর অনুমোদন হয় নাই। বিএসএমএমইউ (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) ইতোমধ্যে আমাদের দেয়া ৩০০ কিটের পরীক্ষা করে ফেলেছে। তারা ইচ্ছা করলে দিতে পারে। এই ৩০০ কিটের ভিত্তিতে আমাদের অনুমোদন না দেয়াটা অনৈতিক কাজ। তারা (বিএসএমএমইউ) কবে নাগাদ রিপোর্ট দিতে পারে, সেটা আমরা কিছুই জানি না। বিএসএমএমইউকে ওষুধ প্রশাসন অনুরোধ করলে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্টটা দাও, তাহলেই এটা হতো। তারপরও তারা কতটা অনৈতিক, অর্বাচীন কাজ করছে, সেটা প্রমাণের জন্যই আমরা অপেক্ষা করছি। তবে তিন-চার দিনের বেশি অপেক্ষা করব না।’

ইতোমধ্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ রোগের চিকিৎসায় মঙ্গলবার প্লাজমা গ্রহণ করেন তিনি। এ অবস্থায় তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ভালো আছি। দোয়া করো।’ সূত্র: জাগোনিউজ