তালেবান মেয়েদের ক্রিকেট খেলতে দেবে : আইসিসির সিইও

ক্রিকেট দুনিয়ার নতুন শক্তি আফগানিস্তান দলে এখন শুধুই শংকা। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর তাদের দেশে নারী ক্রিকেট বন্ধ হয়ে গেছে।  আর নারী ক্রিকেট চালু না থাকলে আফগানরা আইসিসির পূর্ণ সদস্য থাকতে পারবে না। হারাতে হবে টেস্ট মর্যাদা এবং বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ। আফগান ক্রিকেটের ভাগ্য নিয়ে দ্রুতই আইসিসির একটা সভা হওয়ার কথা। সেই সভার আগেই আশার কথা শোনালেন আইসিসির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালার্ডাইস।

ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হওয়ার শংকা নিয়েই চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করেছে আফগানিস্তান। অনেক দেশই চায় না, এমন দুর্দান্ত একটা দল নিষিদ্ধ হয়ে যাক। এমতাবস্থায় জিওফ অ্যালার্ডাইস বলেছেন, ‘তারা (তালেবান) আমাদের বলেছে যে নারী ক্রিকেট দলের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। নারীদের ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো কোনো ইঙ্গিত আমরা পাইনি। তবে এ কথাটা কতটুকু সঠিক, এটা সময়ই বলে দেবে। আফগানিস্তানে ক্ষমতা পরিবর্তনের সময় থেকেই আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আমরা আশা করি, শিগগিরই তাদের কোনো মুখপাত্রের সঙ্গে বসে আমরা আলোচনা করতে পারব।’

আফগানিস্তানকে নারী ক্রিকেট চালু করতে সময় বেঁধে দেওয়া হবে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ওদেরকে এখনো এভাবে কিছু বলার মতো সময় হয়নি। আপাতত ওদের বর্তমান পরিস্থিতি কেমন, এ সম্পর্কে ধারণা নিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনই অনুমানের ওপর নির্ভর করে কোনো কিছু বলা ঠিক হবে না।’ পুরুষ ক্রিকেট দলকে নিষিদ্ধ করা হবে কিনা- জানতে চাইলে অ্যালার্ডাইস বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো, ক্রিকেটে আফগানিস্তানের নারী এবং পুরুষ দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। আমরা মনে করি, আফগান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত থেকে আমরা এই বিষয় নিয়ে কিছুটা প্রভাব খাটাতে পারব।”

অ্যালার্ডাইস আরও বলেছেন, ‘ক্রিকেটে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হওয়ার আগ পর্যন্ত আইসিসির অন্য সদস্যরা আফগানিস্তানের ক্রিকেটকে কীভাবে গ্রহণ করবে, এটা সম্পূর্ণ তাদের নিজস্ব ব্যাপার। আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে আমরা এখন শুধু বোর্ডের সঙ্গেই আলোচনা করতে পারি। কারণ, কোনো দেশে ক্রিকেটের সম্প্রসারণের দায়িত্ব সে দেশের বোর্ডের। আফগানিস্তান আমাদের একটি সদস্য এবং তারা কিছু পালাবদলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ওদের ক্রিকেট ও ক্রিকেট বোর্ড যেন দেশের সংবিধানের সঙ্গে মিল রেখে পরিচালিত হতে পারে, এ জন্য আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।’

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ