তালাবদ্ধ ঘরে স্ত্রীর লাশ, শ্বশুরবাড়ি ফোন দিয়ে পালালেন স্বামী

আশুলিয়া পারিবারিক কলহের জের ধরে বৃষ্টি আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূ শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। পরে অভিযুক্ত আসাদুল ইসলাম নিজেই শ্বশুরবাড়িতে ফোন দিয়ে জানায় বলে দাবি নিহতের পরিবারের। এ ঘটনার পর থেকে আসাদুল পলাতক রয়েছেন।

আজ শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় থেকে বৃষ্টি আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বামী-স্ত্রী দুজনই আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার শ্রমিক।

পলাতক আসাদুল ইসলাম ময়মনসিংহ জেলার ইশ্বরগঞ্জ থানার ফেরী নারায়ণপুর গ্রামের মো. আব্দুল খালেকের ছেলে। অপরদিকে নিহত বৃষ্টি কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানার তালজাঙ্গা গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।

পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। নিহতের শরীরের ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত বৃষ্টির ফুফাতো মামা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সকালে গ্রামে থাকা বৃষ্টির খালা আসমা বেগমকে ফোন করে আসাদুল জানায়, বৃষ্টি অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। আপনার তাকে নিয়ে যান। এই বলে ফোন কেটে বন্ধ করে দেয়। পরে আমরা খুঁজতে খুঁজতে এখানে তাদের ঠিকানা পাই। এসে জানতে পারি বৃষ্টিকে হত্যা করেছে আসাদুল।

তিনি আরো বলেন, বৃষ্টির এটি দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকে বর্তমান স্বামী তাকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। আবার আসাদুল পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে এতে প্রতিবাদ করে বৃষ্টি। এইসব ক্ষোভ থেকে বৃষ্টি হত্যা করেছে।

আশুলিয়া থানার এসআই মো. তানিম হোসেন বলেন, নিহতের মরদেহ বিছানার ওপর পেয়েছি। ঘরে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ ছিলো। প্রাথমিকভাবে ধারনা পারিবারিক কলহের জের স্বামী তাকে হত্যা করে পালিয়েছে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ