তারা খরচ করুক টাকার অভাব হবে না, স্বাস্থ্যখাত নিয়ে কামাল

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের টাকার অভাব হবে না, তাদের কার্যকর সেবা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

শুক্রবার (১২ জুন) ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজটোত্তর অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জন্য মোট ২৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ২৫ হাজার ৭৩২ কোটি কোটি টাকা। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ সংক্রান্ত কার্যক্রম ১৩টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ বাস্তবায়ন করছে। আগামী অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে মোট বরাদ্দ ৪১ হাজার ২৭ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বাড়ানোটা যথেষ্ট নয়। এ বিষয়ে একজন সংবাদিক দৃষ্টি আকর্ষণ করলে অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে অর্থ সচিবকে জবাব দেয়ার নির্দেশ দেন। অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ‘এখানে (স্বাস্থ্য খাত) আরও বরাদ্দ করা গেলে আরও ভালো হত। টাকা বরাদ্দ দেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের দুটো জিনিস দেখতে হয়- এ টাকা ব্যয়ের সক্ষমতা কতটুকু, দ্বিতীয়টি হলো সরকারের যে কাঠামো আমরা ইচ্ছা করলেই বা চাইলেই একটা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ হঠাৎ করে বাড়িয়ে দিতে পারি না। কিংবা হঠাৎ করে কমিয়ে দিতে পারি না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গত ৫ বছরে কত টাকা খরচ করছে তা দেখি, সেখানে দেখতে পাব, প্রতি বছর বরাদ্দের চেয়ে এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি তারা খরচ করতে পারেনি। এটা একটা সক্ষমতার অভাব।’

অর্থ সচিব বলেন, ‘এ বছর শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছি। আমরা আশা করি তারা এ বরাদ্দ যথাযথভাবে খরচ করতে পারবে। এবং এজন্য তারা সক্ষমতা অর্জন করবে।’

‘এছাড়া অর্থমন্ত্রী ১০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ রেখেছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যদি এ টাকা খরচ করত পারে, তারা যদি আরও কার্যক্রম নিয়ে আসতে পারে, করোনা মোকাবিলায় যে কোনো সময় এ ১০ হাজার কোটি টাকা থেকে বরাদ্দ দেয়া যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি এ ১০ হাজার কোটি টাকাও ধরা হয় তাহলে দেখা যাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ মোট বাজেটের ৭ শতাংশ নয় এর উপরে চলে যাবে। সক্ষমতা বিবেচনা করে যখন দরকার হবে তখন আমরা এ খাতে বরাদ্দ দেব।’

পরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এর সঙ্গে যোগ করতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হচ্ছে স্বাস্থ্যখাত যতটা নিতে পারবে, মানুষের সেবা আরও বাড়ানো যাবে, সেবা বাড়ানোর জন্য যা কিছু করা দরকার…। ইফেক্টিভলি, নামের সেবা বাড়ানো না। ইফেক্টিভলি সেবা যতক্ষণ বাড়ানো যাবে এবং সুযোগ থাকে বাড়ানোর ততক্ষণ পর্যন্ত….আমাদের অর্থ ভেরি ফ্লেক্সিবল আমরা কখনো না করবো না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা না করব না এজন্য, ১০ হাজার কোটি টাকা, ইটস এ লট অব মানি। এটা খরচ করতে অনেক দিন লাগবে। এটা তারা খরচ করুক, তাদের টাকার অভাব হবে না।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য টাকার কোন অভাব হবে না। কিন্তু তাদেরকে যেটা এনসিউর করতে হবে সেটা হলো, সার্ভিসটা আমরা তাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করব। ইফেক্টিভ সার্ভিসেস। পৃথিবীর অ্যাডভান্স কান্ট্রিগুলো যেভাবে করছে সেভাবে বলবো না।’