তামিমের বিদায়ে ভাঙল জুটি, হাফসেঞ্চুরির পথে সাকিব

ফিফটির পর ধৈর্য্যহারা হয়ে গিয়েছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।  যার খেসারত দিতে হলো তাকে।  ব্যক্তিগত ৬৪ রানের মাথায় আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন এ ড্যাশিং ওপেনার।

তামিমকে ফিরিয়েছেন ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশ শিবিরে ধাক্কা দেওয়া আলজারিও জোসেফ।  নিজের ও ইনিংসের প্রথম ওভারেই শূন্যরানে ওপেনার লিটন দাসকে আউট করেন জোসেফ।  এবার তার শিকার আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল।

একের পর এক শর্ট বল করে যাচ্ছিলেন জোসেফ।  অবশেষে পরিকল্পনা সফল হয় তার।  ২৮তম ওভারের শেষ বলে জোসেফের করা শর্ট বল খেলতে গিয়ে মিডউইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা আকিল হোসেইনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তামিম।

জোসেফের শর্ট বল লেগে ঘুরিয়েছিলেন তামিম। ঠিক মতো খেলতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। ধরা পড়েন মিডউইকেটে। ভাঙে ১২১ বল স্থায়ী ৯৩ রানের জুটি।

ওভারের শুরুতে অবশ্য একটা সুযোগ দিয়েছিলেন তামিম। সেটা কাজে লাগাতে পারেননি আকিল। পরের সহজ সুযোগটি কাজে লাগাতে কোনো ভুল করেন তিনি।

আউট হওয়ার আগে ৮০ বল মোকাবিলা করে ৬৪ রান করেন তামিম।  এর আগে জেসন মোহাম্মেদের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পূরণ করেন তামিম ইকবাল। ওয়ানডেতে বাঁহাতি এই ওপেনারের ৪৯তম ফিফটি।

প্রথম ২৯ বলে ২৮ রান করেন তামিম।  এরপর দেখেশুনে খেলতে থাকেন।  পরের ২২ রান করতে ৪১ বল খরচ করেন।

অবশেষে ৭০ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন।  ফিফটি হাঁকানোর পরের বলেই ধৈর্য্যহারা হয়ে পড়েন অধিনায়ক।  জেসন মোহাম্মেদকে ছক্কায় ওড়ান বাংলাদেশ অধিনায়ক।  ইনিংসে স্বাগতিকদের প্রথম ছক্কা এটি।

তামিম আউটের পর সাকিবকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে এসেছেন মি. ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৫৮ রান।  হাফসেঞ্চুরির পথে সাকিব।  ৭০ বলে ৪০ রান করেছেন সাকিব।  আর ১৫ বলে ১৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিক।

 

সুত্রঃ যুগান্তর