তানোর ইউএনও অফিসের পিয়নের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

তানোর প্রতিনিধি :
রাজশাহীর তানোরে এক (অফিস সহায়ক) পিয়নের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর- ৩ বাই ১৪৪। মামলায় অভিযুক্ত আসামী হলেন ইউএনও অফিসের পিয়ন আরিফ হোসেন (৩২)।

তিনি তানোর পৌর এলাকার রায়তান বড়শো মহল্লার মৃত মুক্তিযোদ্ধা রহিম মাস্টারের পুত্র। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার তালন্দ ইউপির নারায়ণপুর গ্রামে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস আগে আরিফ ওই নারীর সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এসুযোগে বাড়িতে প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া শুরু হয় তার। সম্প্রতি গত ৫ সেপ্টেম্বর মদ খেয়ে ওই নারীর বাড়িতে যায়। ভিকটিমের স্বামী না থাকার সুযোগে আরিফ ওই নারীকে ধর্ষণের চেস্টা করে। এ সময় ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে আরিফ কৌশলে পালিয়ে যায়। তবে, পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও তার কাছে থাকা ইউএনও অফিসের এক গোছা চাবি ফেলে যায় আরিফ। ভিকটিম বিষয়টি ওই রাতেই গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করেন।

এদিকে আরিফ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। কয়েক দিন আগে আমার বাবা মারা গেছেন। আমার পরিবারের সদস্যরা সে শোকে কাতর হয়ে আছে। এর মধ্যে আমাকে মিথ্যে ভাবে ফাসানো হচ্ছে। ওই নারীর স্বামী তার বন্ধু। সেই সূত্রে ওই বাড়িতে মাঝে মধ্যে যেতাম। বেশ কিছুদিন আগে টাকা ধার নেয়। সেই টাকা ফেরৎ দেবার কথা বলে তাকে বাড়িতে ডেকে ফাঁসানো হয় বলে তিনি দাবি করেন।

ভিকটিম ওই নারী জানান, আরিফের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। এমনিতেই মাঝে মধ্যে তার বাড়িতে আসতো। ঘটনার দিন রাতে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ফলে বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে।

তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, ঘটনাটি নিয়ে আরিফের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো, আমি সব সময় ন্যায়ের পক্ষে কথা বলি। যদি সে অন্যায় করে থাকে তাহলে সাজা পাবে। আর যদি সে ষড়যন্ত্রের শিকার হন প্রশাসনের লোক তদন্ত করে সঠিক রিপোর্ট দিবে।