তানোরে যুবকের আত্মহত্যা, ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দফনের অনুমতি

তানোর প্রতিনিধি :
রাজশাহীর তানোরে নিজ ঘরের তীরের সঙ্গে গলাই দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক যুবক। তিনি ২ কন্যা সন্তানের জনক। তার নাম মাহফুজুর রহমান পাভেল (৪২)। মৃত ব্যক্তির বাড়ি তানোর পৌর এলাকার রায়তান বর্ষ কালিগঞ্জহাট নামক স্থানে। তাঁর পিতার নাম মৃত আনিছুর রহমান। এঘটনায় তানোর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে, ময়না তদন্ত ছাড়াই মৃতের লাশ দাফনের অনুমতি দিয়েছেন পুলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আজ (৮ মে) সোমবার সকাল ৮টার দিকে পাভেল তার নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় স্ত্রী আলো (৩৫) বাড়ির বাহিরে যায়। ঘন্টা খানেক পর সকাল ৯টার দিকে তার স্ত্রী বাড়িতে এসে দেখেন স্বামী পাভেল নিজ ঘরে তীরের সঙ্গে দড়ি দিয়ে ঝুলে আছেন। এসময় স্ত্রীর ডাক চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন আসার পর তানোর থানা পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশটি উদ্ধার করেন।

পরে রহস্যজনক কারণে পুলিশ মৃতের স্ত্রীকে বাদী করে তানোর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে লাশটি দাফনের অনুমতি দেন। তবে, এসময় মৃতের বড় ভাই রয়েল সকলের সামনে প্রকাশ্যে চেচামেচি করে মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটন ছাড়াও ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানিয়ে মামলার বাদী হতে চাইলেও পুলিশ ও তার পরিবার রয়েলের কথায় কোন কর্নপাত করেননি। মৃতের স্ত্রী আলো পুলিশকে জানিয়েছেন পাভেল আগে ফার্মেসীর দোকান করতেন। ওই দোকান ভাড়া দেয়ার পর থেকেই সংসার নিয়ে খুবই সংকটে টেনশন করতেন দুজনই।

এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, আত্নহত্যাকারী পাভেল দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলো। তার স্ত্রীও ক্যান্সারের রোগী। তাদের ২ কন্যা সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। আর ছোট মেয়ের বয়স ৬ বছর।

ওসি আরও বলেন, এটি একটি আত্মহত্যা। তার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোন অভিযোগ না করায় লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এরিপোর্ট লিখা পর্যন্ত পাভেলকে দাফনের প্রস্তুতি চলছিলো।