তানোরে বাস-সিএনজি চালকদের দ্বন্দ্ব: রাজশাহীতে বাস চলাচল বন্ধ

তানোর প্রতিনিধি:

রাজশাহীর তানোরে সিএনজি ও বাস চালকদের দ্বন্দ্বের জের ধরে রাহশাহীর সদর, তানোর, মুন্ডুমালা, আমনুরা রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুই একটি বাস চলাচল করলেও দুপুর থেকে পুরোদমে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

জানা গেছে, সকাল ১০টার একটি সিএনজি তানোর থানা মোড় থেকে কয়েকজন যাত্রী তুলে নিয়ে রাজশাহীতে দিকে যাবার সময় থানা মোড়ের বাস মাষ্টার শরিফের সঙ্গে কথাকাটিসহ ধাক্কাধাক্কীর ঘটনা ঘটে। এসময় আমনুরা থেকে ছেড়ে আসা একটি বাস থানা মোড়ে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে থানার সামনের রাস্তায় মধ্যে গাড়ী বন্ধ করে দেন চালক।

অপর দিকে রাজশাহী ও আমনুরা থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো একের পর এক তানোর বাজারসহ থানা মোড়ে এসে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে রাস্তার মধ্যে গাড়ী বন্ধ করে নেমে পড়েন। এসময় দুই দিক থেকে অন্যান্য যানবাহন আসলে শুরু হয় যানজট। এসময় তানোর থানা’র ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা রাস্তার যানজট দুর করতে বাসগুলোর চালকদের খুজে বের করে বাসগুলো রাস্তার এক পাশে নিয়ে যান। এসময় আমশো’র বাস মাষ্টার কালামকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। তবে পরিস্থিতি শান্ত হলে তাকে ছেড়ে দেন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বাস মালিক সমিতি পক্ষ থেকে তানোর রুটের সকল বাস চালকদের জানানো হয় তানোর-রাজশাহী রাস্তায় সিএনজি গাড়ী বন্ধ না হলে তানোর রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। বাস মালিকদের সিন্ধান্ত মোতাবেক বেলা দুপুর ১২টার মধ্যে তানোর রুটের সব বাস রাজাশাহী বাস র্টামিনালে চলে যায়। দুপুর ১টার পর আর রাজশাহী টু তানোরের রাস্তায় বাস চলাচল করেনি।

বাস চালক হায়দার ও কনটেকটার মাসুম বলেন, এমনিয়ে তানোর রুটে অনেক বাস। যাত্রী কম। তার মধ্যে সিএনজি গাড়ীগুলো আমাদের বাসের যাত্রী নিয়ে চলে যাচ্ছে।যাত্রী না থাকায় বাস মালিকদের লস হচ্ছে।

সিএনজি মালিক ও চালক শ্রমীকলীগ সমিতি’র সভাপতি শফিকুল ও সম্পাদক আলমগীল বলেন, তানোরে ৫৩টি সিএনজি রয়েছে। ৫৩টি পরিবার সিএনজি’র আয়ের উপর নির্ভরশীল। রাজশাহীর প্রতিটি উপজেলার রাস্তায় বাস ও সিএনজি গাড়ী চলে কোন ক্ষতি হয় না। তাহলে তানোর রুটে শুধু কেন বাস চলবে, সিএসজি চলবে না। আমরা সিএনজি নিয়ে রাস্তায় নামলে তানোর-রাজশাহী রাস্তার কয়েকটি স্থানে বাস মাষ্টাররা আমাদের গাড়ীর যাত্রী নামিয়ে নিয়ে আমাদের মাঝে মধ্যে মারধর করে। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক আমরা এর বিচার চাই। তানোর-রাজশাহী রুটে সিএনজি চলতে দিতে হবে।

তানোর থানা অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) খাইরুর ইসলাম বলেন, বাস মালিক সমিতির রাজশাহী-তানোর রুটে সিএনজি গাড়ী চলাচল করতে দিবে না সেটা তাদের বিষয়। সে বিষয়ে আমার কিছু বলার নেয়। আজ সকালে বাস চালক, বাস মাষ্টারের সঙ্গে সিএনজি গাড়ীর চালকের কথা কাটাকাটি হয়েছে। সে জন্য বাস চালকরা কি রাস্তা মধ্যে থানার সামনে গাড়ী বন্ধ করে দিয়ে যানজট সৃষ্টি করবে। আমরা শুধু রাস্তা থেকে বাসগুলো সরিয়ে রাস্তার যানজট মুক্ত করেছি। দ্বন্দ্ব তো  বাস চালক ও সিএনজি চালকদের মধ্যে। যাকে আটক করা হয়েছিল তাকে আমরা ছেড়ে দিয়েছি। দুপুর থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

রাজশাহী জেলা শ্রমিক ইউনিয়নরে আহবায়ক কামাল হোসেন রবি বলেন, রাজশাহী-তানোরে রুটে সিএনজি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। মাঝে মধ্যে পুলিশ আমাদের লোকজনদের আটক করে। সব সমাধান হলে বাস চলবে।

স/অ