সোমবার , ৮ জুলাই ২০১৯ | ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

তানোরে পুলিশ মোতায়ন করে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ

Paris
জুলাই ৮, ২০১৯ ১০:৫৭ অপরাহ্ণ

তানোর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন বানু কামারগাঁ ইউনিয়নে মাইকিং করে ধান সংগ্রহ শুরু করেছে। আগে আসলে কৃষকরা আগে ধান দিতে পারবেন। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে যেসব কৃষক কার্ড নিয়ে আসেন তাদের মধ্যে ৩৬০ জনের কার্ড জমা নেয়া হয়। তবে অনেক কৃষক দেরিতে খাদ্যগুদামে পৌছার কারনে তাদের কার্ড নেয়া হয়নি। ১১৬ মেট্রিকটন ধান কেনার র্টাগেটে কৃষকদের উদ্দ্যেসে ইউএনও কিছু কথা বলে ঘটনা স্থল ত্যাগ করেন।

এঘটনায় কার্ড নিয়ে এসেও যারা ফেরত গেছে সেসব কৃষকরা খাদ্যগুদামের ভিতরে ও বাহিরে বিক্ষোভ করেন। আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার কামারগাঁ খাদ্যগুদামে এঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গত রবিবার সরকারীভাবে ধান সংগ্রহের জন্য উপজেলার কামারগাঁ ইউপি জুড়ে মাইকিং করা হয়।

সে অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকেই ইউপি এলাকার কৃষকরা কামারগাঁ বাজারে অবস্থিত খাদ্যগুদামে আসা শুরু করেন। এদিকে সকাল ১১টার পরে ইউএনও পুলিশ পিকআপ নিয়ে হাজির হন খাদ্যগুদামে। শুরু হয় কৃষি কার্ডসহ কাগজপত্র জমা নেবার কাজ। ৩৬০ জন কৃষকদের কার্ড জমা হবার পর নেয়া বন্ধ করে দিলে যারা কার্ড জমা দিতে পারেনি তাঁরা ব্যাপক উত্তেজিত হয়ে পড়েন।

ইউএনওর সঙ্গে ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কার তিনি মাইকে সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান । কোন ভাবেই কৃষকরা থামছিলনা ।

এসময় ইউএনও নাসরিন বানু নিজে মাইক নিয়ে কৃষকদের বলেন যারা আগে কার্ড দিয়েছেন তাদের ধান আগে নেয়া হবে। এখানে অনেক কৃষক আছেন কিন্তু আমাদের সরকারী বরাদ্দ খুবই কম। আমি সে সমস্ত কার্ড নিয়ে যাচ্ছি এর মধ্যে যাচাই বাঁচাই করে সম অধিকার অনুযায়ী বণ্টন করা হবে বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

কার্ডধারী কৃষক কামারগাঁ ইউপি এলাকার বারোঘরিয়াগ্রামের রহমতুল্লা জানান সময় মত এসেও আমার কার্ড নেয়নি। আর নাকি কার্ড নেয়া যাবেনা। যদি নাই নেয়া যাবে তাহলে পুরো ইউপি এলাকায় মাইকিং করে কৃষকদের কেন ডাকা হল। একই ধরনের অভিযোগ করেন কামারগাঁ বাজার এলাকার কৃষক মিল্টন, নিলিমা, চন্দন,শুসিল দাসসহ শতশত কৃষক ।

এদিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও থানা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জানিনা নির্বাহী অফিসার কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে এমন কাজ করল কি জন্য।

তিনি আরো জানান গত ১ তারিখে সিদ্ধান্ত হয় খাদ্য গুদামে এসে কৃষকরা ধান দিবেন। কারন চাহিদার তুলনাই বরাদ্দ অনেক কম । দুই গুদাম মিলে ৬ ১৫ মেঃ টন ধান বরাদ্দ এসেছে। উপজেলা কৃষকদের চাহিদার তুলনাই এটা কিছুই না। এমনকি ১ তারিখের সভাইও এমনই কথা হয়। নির্বাহী অফিসার আমাদেরকে না জানিয়ে এলাকায় মাইকিং করে তিনি গুদামে পুলিশ নিয়ে গিয়ে ধান সংগ্রহ করছেন।

তিনি কামারগাঁ গেলেন ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কারকে নিয়ে।অথচ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া সরদারের বাড়ি ওখানেই তিনিও জানেন না কিছুই। আমিতো জানিই ন । তিনি কি ভেবে একাজ করলেন জানিনা এখন ফোনের পর ফোন আসতে শুরু করেছে। মাত্র ১১৬টন ধানের জন্য পুরো ইউপি এলাকায় করেছেন মাইকিং। এক টন করে যদি কৃষকরা ধান দিতে পারত তাহলেও অন্তত ১১৬জন কৃষক সুবিধা পেতেন । দলীয় নেতা-কর্মীদের বিষয়ে আমি কোন সুপারিশ করিনা। আমি চাই কৃষকরা যেন ধান দিতে পারেন।

কামারগাঁ খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ওসিএলএসডি মাইনুল ইসলামের কাছে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান নির্বাহী স্যার যে মোতাবেক বলেছেন সে মোতাবেক ধান সংগ্রহ করা হবে ।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নাসরিন বাবু বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মহায়দ ধান ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির সদস্য নয়। তার অনুমনি নিয়ে কেন আমাকে ধান কিনতে হবে। দালারদের হাত থেকে কৃষকদের বাচাতে আমি সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনেছি।

স/অ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর