তানোরে ন্যাড়ার আগুনে কৃষকের ধান পুড়ে ছাই

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর তানোরে বালাইনাশক ও বিসিআইসির সাব ডিলার জসিম উদ্দিনের অসাবধানতায় দুই কৃষকের জমির ধান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুরের দিকে পৌর সদর এলাকার ধানতৈড় গ্রামের ধানক্ষেতে এ ঘটনা ঘটে।

আগুনে দরিদ্র কৃষক হারু ও মনিরুলের ধান পুড়ে একেবারেই ছাই হয়ে গেছে। ফলে কৃষকের রক্তঘামের ফসল এভাবে পুড়ে ছাই হওয়ায় হতবাক স্থানীয়রা। এতে করে ব্যবসায়ী জসিমকে আইনের আওতায় আনার জোরালো দাবি উঠেছে।

কৃষক হারু জানান, আমি দরিদ্র, আমার ১২ কাঠা জমির ধান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অনেক কষ্টকরে চাষাবাদ করেিেছলাম। ধান কেঁটে পালা দেওয়া ছিল। সেই ধান ঘরে তুলতে পারলাম না। এর চেয়ে কষ্টের আর কি হতে পারে। এ কষ্ট বলার মত না, ভাষাও জানা নেই। শুধু জসিমের খামখেয়ালীতে কাটা ধান খড় পুড়ে গেল।

প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তিরা জানান, জসিমের ধান কাটা ছিল, সেই ধানের আটি সরিয়ে তার নির্দেশে জমি চাষের জন্য ন্যাড়াতে আগুন লাগিয়ে দেয়। ন্যাড়াতে আগুন দেন আনাম। শুধু মাত্র জসিম আগে আলুর জমি চাষের জন্য ট্র্যাক্টর দখলে নিবেন এজন্য ধানগুলো পুড়েছে।

সে আগুন লাগিয়ে চলে যায়। মুহুর্ত্বের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেই আগুনে হারুর ১২ কাঠা জমির ধান খড় ও মনিরুলের ৬ কাঠা জমির ধান খড় পুড়েছে। আগুন দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিস থানা পুলিশকে খবর দেওয়া মাত্রই দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। যদি দেখতে না পেতাম তাহলে আর কত কৃষকের ধান পুড়ে যেতো। রোপা আমন ধান রোপন থেকে শুরু করে উত্তোলন পর্যন্ত দ্বিগুণ খরচ। প্রায় এক বিঘা জমির ধান খড় পুড়েছে। এতে ক্ষতি নিম্মে হলেও ৩০-৩৫ হাজার টাকা হবে বলে ধারনা করছেন।

মনিরুল জানান, আমার ৬ কাঠা জমির ধান ও খড় পুড়েছে, আমি ব্যস্ততার জন্য যেতে পারিনি। আব্বা জমিতে গিয়েছিল।

জসিম জানান, ইচ্ছে করে কেউ তো আগুন দিবে না, এটা দূর্ঘটনা।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া জানান, সংবাদ পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জি/আর