তানোরে গর্ভবতি স্ত্রীকে মারপিট, পেটের সন্তানের মৃত্যু


তানোর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরে গর্ভবতি স্ত্রীকে পারপিট করায় গর্ভবতি মায়ের পেটের ৭ মাসের সন্তানের মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার রাত ২টার দিকে তানোর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা ময়না আক্তার মুক্তা (১৯) নামে ওই গর্ভবতির পেট থেকে ৭ মাসের মৃত বাচ্চা প্রসাব করায়।
ময়না আক্তার মুক্তার অবস্থা বেগতি দেখে গতকাল শনিবার বিকালে তানোর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফাড করা হয়েছে। ময়না মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ।

জানা গেছে, গত ১৩ মাস আগে তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের ময়না আক্তার মুক্তার সঙ্গে ওই ইউনিয়নের বিলশহর গ্রামের রবিউল ইসলামের বিয়ে হয়। তবে রবিউলের দ্বিতীয় স্ত্রী ময়না। বিয়ের পর রবিউল তার স্ত্রী ময়নাকে নিয়ে দেবিপুর মোড়ের পাশে জালাল আরমির বাড়িতে ভাড়া থাকতো। পারিবারিক কলহের জের ধরে এক সপ্তাহ আগে রবিউল তার ৭ মাসের অন্তসত্তা স্ত্রী ময়নাকে বেধড়ক মারপিট করেন আহত অবস্থায় বাড়ির ভেতরে রেখে তালা দিয়ে চলে যায়। ৭ মাসের অন্তসত্তা ময়না নিজের মান স¤œানের ভরে কাউকে কিছু বলি নি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার অবস্থা খারাপ হতে থাকলে সে তার মাকে খবর দেয়। তার মা এসে বাড়ির তালা ভেঙ্গে ভেরতে যায়। শুক্রবার রাতে ময়নার অবস্থা বেগতি দেখে তার মা তাকে তানোর থানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করায়। কর্তব্যরত ডাক্তার ময়নার নরমালে ডেলিভারি করায়। তবে বাচ্চা মৃত হয়।

শনিবার বিকালে তানোর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ভর্তিরত ময়না বলেন, আমার স্বামীর আমি দ্বিতীয় স্ত্রী। আমার বিয়ের পর আমার স্বামী রবিউল আমাকে বলেছিল আমার বাচ্চা হলে সে আমাকে তার তানোর সদরের জায়গা লিখে দিবে । জমি দিবেনা বিধায় সে আমার পেটে লাথি, কিল ঘুমি মেরে বাচ্চা মেরে ফেলেছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চায়। আমি মৃত্যুও সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছি কিন্তু আমার স্বামী আমাকে দেখতে আসেনি।
তালন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন বাবু বলেন, রবিউল তার স্ত্রী অন্তসত্তা ময়নাকে মারপিট করেছে সে বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানিয়েছিল। আমি রবিউলকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছিলাম কিন্তু রবিউল আমার কথার কোন কন্যপাত করেনি।
তানোর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ঘটনাটি শোনার পর আমি ওসি (তদন্ত) উসমান গনিকে তানোর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলাম। ডাক্তাররা মৃত বাচ্চা প্রসাব করিয়েছে। তবে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।