বৃহস্পতিবার , ১৭ আগস্ট ২০২৩ | ১৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

‘তাদের উদ্দেশ্য গণতন্ত্র না, বঙ্গোপসাগর ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে আক্রমণ’

Paris
আগস্ট ১৭, ২০২৩ ৯:১৮ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে ঘিরে সংবাদ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, “তাদের উদ্দেশ্য গণতন্ত্র না, বঙ্গোপসাগর ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে আক্রমণ : শেখ হাসিনা”। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বুধবার তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে যেসব দেশ তৎপরতা দেখাচ্ছে তাদের আসল উদ্দেশ্য গণতন্ত্র নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, বঙ্গোপসাগরকে ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে আক্রমণ করা, এটাই কারো কারো উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে ওই দেশগুলো তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায় বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

আর সাড়ে চার মাস পর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রসহ তাদের মিত্র ইউরোপের কয়েকটি দেশ নানা প্রশ্ন তুলছে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারকে এর জবাব দিতে হচ্ছে। দেশগুলো বলছে, গণতন্ত্রের স্বার্থে তারা কাজ করে। তারা চায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করুক।

একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি বেছে নেয়ার সুযোগ পাক।

একই বিষয়ে মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম “ভারত মহাসাগর ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশকে আক্রমণ করা কারও কারও উদ্দেশ্য”। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন,

“গণতন্ত্রের নাম করে ভারত মহাসাগর ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে আক্রমণ করার উদ্দেশ্যে তারা কাজ করছে। কারণ ভৌগোলিক অবস্থানের দিক দিয়ে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের এ অঞ্চলের গুরুত্ব অনেক বেশি। আমাদের বঙ্গোপসাগরটাও এরই অংশ। “

বাংলাদেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে বিভিন্ন দেশের আগ্রহকে কটাক্ষ করে এ ধরণের মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন, ভারত মহাসাগরে যতগুলো দেশ আছে এখানে কারও সঙ্গে কারও দ্বন্দ্ব নাই। তাই অনেকে এটিকে ব্যবহার করতে চায়।

এক্ষেত্রে ভারত মহাসাগরের অন্যান্য দেশকেও সচেতন থাকার পরামর্শ দেন তিনি। সেইসাথে প্রশ্ন রাখেন, “আপনাদের গণতন্ত্র কি আটলান্টিকে আটকে যায়? আটলান্টিক পর্যন্ত সীমাবদ্ধ?”

সর্বজনীন পেনশন উদ্বোধন নিয়ে ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম, “সর্বনিম্ন ১০ বছর চাঁদা দিলেই মিলবে আজীবন পেনশন”। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা গত রবিবার থেকে চালু হলেও আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই পেনশন কর্মসূচির বিভিন্ন দিক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু করেছে সরকার। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য ‘প্রবাসী’ ও দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’ স্কিম। তবে চাঁদাদাতা যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে স্কিম পরিবর্তন করতে পারবেন।

অর্থ বিভাগের সূত্র অনুযায়ী, উদ্বোধনের দিন থেকেই ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যে কেউ পেনশন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। ৫০ বছরের বেশি বয়সীরাও বিশেষ বিবেচনায় পেনশনভুক্ত হতে পারবেন। তবে এর জন্য তাকে টানা ১০ বছর চাঁদা পরিশোধ করতে হবে। এর পরে তিনি যে বয়সে উপনীত হবেন, সেই বয়স থেকে পেনশন শুরু হবে।

বাকিদের ক্ষেত্রে পেনশন দেওয়া শুরু হবে ৬০ বছর বয়সের পর। এরপর তিনি যত দিন বেঁচে থাকবেন, তত দিন মাসে মাসে নির্দিষ্ট অঙ্কের পেনশন পাবেন। তবে চাঁদাদাতা মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন চাঁদাদাতার ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত। অর্থাৎ ১৫ বছর তার নমিনি পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

একই ইস্যুতে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, “পেনশনে আসছে নতুন মাত্রা”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বেসরকারি চাকরি থেকে অবসরে গিয়েও পেনশন সুবিধা ভোগ করা যাবে। তবে নতুন এই কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকছে সোয়া কোটির বেশি মানুষ।

অর্থাাৎ স্কিমটি থেকে বাদ পড়ছেন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাপ্রাপ্ত ১ কোটি ৩৮ লাখ মানুষ। তাদের সবাই নগদ ভাতার সুবিধা পাচ্ছেন। পেনশন স্কিমে অংশ নিতে হলে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা সমর্পণ করতে হবে। অন্যথায় এ স্কিমে যুক্ত হতে পারবে না।

একই সঙ্গে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরাও আপাতত এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারছেন না। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বকর্মে নিয়োজিত ও স্বল্প-আয়ের নাগরিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা এতে অংশ নিতে পারবেন।

এই ইস্যুটি প্রথম আলোসহ আরও বিভিন্ন পত্রিকা তাদের প্রথম পাতায় গুরুত্ব দিয়ে ছাপিয়েছে। যেখানে ঘুরে ফিরে একই ধরণের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রথম আলোর অন্যান্য খবরের মধ্যে রয়েছে , “মশা নিধনের ব্যাকটেরিয়া আমদানিতে জালিয়াতি” প্রথম পাতায় উঠে এসেছে।

এখানে বলা হচ্ছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মশার লার্ভা নিধনের ব্যাকটেরিয়া- বিটিআই (বালিসাস থুরিনজেননিন ইসরাইলেনসিস) আমদানিতে জালিয়াতের ঘটনা ঘটেছে। সিঙ্গাপুরের কথা বলে ব্যাকটেরিয়াটা আমদানি করা হয়েছে চীন থেকে।

দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী বিটিআই ব্যাকটেরিয়াটি চীন থেকে আমদানির কোন সুযোগ ছিল না নতুন এই ব্যাকটেরিয়া সরবরাহ করেছে বাংলাদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মার্শাল এগ্রোভেট কেমিকাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

তারা সিটি করপোরেশনকে যে বিটিআই ব্যাকটেরিয়া বুঝিয়ে দিয়েছে ওই মোড়কের গায়ে প্রস্তুতকারক হিসেবে সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যাল লিমিটেডের নাম লেখা রয়েছে।

তবে চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানির তথ্যে দেখা যায় গত ২৬ শে জুলাই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কন্টেইনারে করে বিটিআই ব্যাকটেরিয়া আমদানি করে মার্শাল এগ্রোভেট লিমিটেড। যা চীনের শানডং গানন অ্যাগ্রোভেট অ্যাগ্রোকেমিক্যাল কোম্পানি থেকে আনা হয়েছে।

এদিকে আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সমকালের প্রধান শিরোনাম “প্রশাসনকে আস্থায় রাখার চেষ্টা দুই পক্ষের”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং মাঠের বিরোধী দল বিএনপি প্রশাসনকে তুষ্ট রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে।

সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনের বেশি পদোন্নতি, বেতন বাড়ানো, আর্থিক সংকটেও নতুন গাড়ি, বিভাগীয় শাস্তিতে নমনীয়, বীমাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে বিরোধীপক্ষ ভবিষ্যতে বৈরী আচরণ না করার ব্যাপারে আশ্বাস দিচ্ছে।

গত ২৫ জুলাই মধ্যরাতে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘কর্তৃপক্ষের বেআইনি আদেশে বা চাপে পড়ে যেসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এতদিন অন্যায়, অবৈধ ও বেআইনি কাজ করেছেন; তারা এখন থেকে যদি আর এ ধরনের কাজ না করেন, তাহলে তাদের আগের ভূমিকা সহানুভূতি ও ইতিবাচক দৃষ্টিতে বিবেচনা করা হবে।’

কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, “আন্তর্জাতিক আদালতে আবার সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আবারও আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) দ্বারস্থ হয়েছে লন্ডনভিত্তিক আইনি সেবা প্রতিষ্ঠান গের্নিকা ৩৭ চেম্বারস।

এই প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাজ্যের আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান। তিনি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে আইনি সহায়তা দিয়ে থাকেন।এর আগেও একবার টবি ক্যাডম্যান আইসিসির কৌঁসুলির কাছে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানের জন্য আবেদন করেছিলেন।

গের্নিকা ৩৭ চেম্বারসের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ‘২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বেসামরিক জনগোষ্ঠীর ওপর নিরাপত্তা বাহিনী মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে’ বলে অভিযোগ করেন টবি।

২০১৬ সালের ২৫ মে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে অভিযোগ আইসিসিতে করা হয়েছিল তার কোনো আইনি ভিত্তি না থাকায় হেগের ওই আদালত তা নাকচ করেছেন।

এনআইডি সার্ভার হ্যাক হওয়া নিয়ে নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, “Bangladesh’s NID server shut for 38 hours for hacking threat”। অর্থাৎ “হ্যাকিংয়ের হুমকিতে বাংলাদেশের এনআইডি সার্ভার ৩৮ ঘণ্টা বন্ধ”

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের এনআইডি সার্ভারটি মঙ্গলবার এবং বুধবারের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে সাইবার-আক্রমণের হুমকির মধ্যে বন্ধ ছিল, এর ফলে সেবাপ্রার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।

১৫ই আগস্ট রাত ১২টা থেকে ৩৮ ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর বুধবার দুপুর ২টার দিকে সার্ভারটি পুনরুদ্ধার করা হয়। নির্বাচন কমিশনের এনআইডি শাখার কর্মকর্তারা বলেছেন, কিছু হুমকি নিরপেক্ষ করে তারা সার্ভারটি পুনরায় চালু করেছেন।

বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবির বলেন, ১৫ই আগস্ট সম্ভাব্য সাইবার-আক্রমণের বিষয়ে মিডিয়া রিপোর্ট ছিল। এই পরিস্থিতিতে সার্ভারটি রক্ষণাবেক্ষণের উদ্দেশ্যেও ডাউন রাখা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘আমরা এনআইডি সার্ভার সাময়িকভাবে বন্ধ করার বিষয়ে কোনো প্রকাশ্য ঘোষণা দিইনি, এটা ভেবে আতঙ্ক ছড়াবে।

বাজেট ঘাটতি নিয়ে দ্য ডেইলে স্টারের প্রধান শিরোনাম “Budget Deficit Financing: Govt cuts BB borrowing to tame inflation”। অর্থাৎ সরকার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ কমিয়েছে।

সরকার তার বাজেট ঘাটতি মোকাবিলা করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কম হারে ঋণ নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এতে নির্বাচনের আগে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে পৌছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চরতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়নি; বরং তা ফেরত দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী যার পরিমাণ প্রায় ৯,৩৫৪ কোটি টাকা।

জুলাই মাসে, মূল্যস্ফীতি ৯.৬৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আগের মাসের তুলনায় ১০ বেসিস পয়েন্ট কম খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে।

ব্যাংকিং খাত নিয়ে বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, “৪০ বছরে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় ন্যাশনাল ব্যাংক”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংকের সম্পদ গত দেড় বছরে প্রায় ১২ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার ৪০ বছর পর বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় এসে পৌঁছেছে ব্যাংকটি।

যেকোনো ব্যাংকের মুনাফার প্রধান উৎস বিবেচনা করা হয় সুদ খাতের আয়কে। ন্যাশনাল ব্যাংকের ক্ষেত্রে আয়ের এ উৎস বেশ নাজুক অবস্থায় রয়েছে। ২০২২ সালে এ খাতে ব্যাংকটি লোকসান দিয়েছে ৯৮৯ কোটি টাকা। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) সুদ খাতে লোকসান দাঁড়িয়েছে ৫০৬ কোটি টাকা। সুদ খাতে বড় লোকসানের জের ব্যাংকটির সব সূচকেই পড়েছে।

গত বছর ন্যাশনাল ব্যাংকের নিট লোকসান ছিল ৩ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। চলতি বছরের প্রথমার্ধে পরিচালন লোকসানই ৬২০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত বিধিবদ্ধ জমা (এসএলআর), ঋণ-আমানত অনুপাত (এডি রেশিও), মূলধন, সঞ্চিতিসহ কোনো শর্তই ব্যাংকটি পূরণ করতে পারছে না।

অথচ চার দশক আগে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকটি একসময় উদ্যোক্তা তৈরিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। দক্ষ ব্যাংকারও তৈরি করেছে অনেক। একসময়ের সেরা ব্যাংকটি কার্যত ভেঙে পড়ার পেছনে দায়ী করা হচ্ছে অনিয়ম-দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনাকে।

অন্যান্য খবর

যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর, “আতঙ্কে বিএনপির সক্রিয়রা গ্রেফতারে নয়া কৌশল”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপির মাঠ পর্যায়ের সক্রিয় নেতাদের মধ্যে চলছে গ্রেফতার আতঙ্ক। সম্প্রতি একদফা আন্দোলনে রাজপথে যারা মূল ভূমিকা পালন করছেন, তাদের টার্গেট করে নীরবে আটক করা হচ্ছে।

বিএনপির দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২৮শে জুলাই থেকে ১৪ই আগস্ট পর্যন্ত সাড়ে পাঁচশ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বে রয়েছেন। নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবার কৌশল পরিবর্তন করেছে বলে দাবি দলটির।

তারা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ঘোষণা, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার কঠোর সমালোচনার পর এমন কৌশল নিয়েছে। গ্রেফতারের বিষয়টি যাতে সব মহলে আলোচনায় না আসে, সেজন্য সিনিয়র নেতাদের আপাতত আটক বা হয়রানি করা হচ্ছে না।

আট করা হচ্ছে মূলত মাঝারি বা নিচের সারির নেতারা গ্রেফতার হওয়ায় গণমাধ্যমেও তা গুরুত্ব দিয়ে প্রচার বা প্রকাশ হচ্ছে না। ফলে এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীকেও পড়তে হচ্ছে না কোনো সমালোচনায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এমন কৌশল সম্পর্কে মাঠের সক্রিয় নেতাদের সতর্ক করা হচ্ছে।

ডিমের দাম নিয়ে কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর, “রেয়াতি সুবিধা নিয়েও ডিমের বাজার অস্থির”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রেয়াতসহ নানা শুল্ক ছাড়ের সুবিধা নিচ্ছেন পোলট্রিশিল্প মালিকরা। কিন্তু এসব সুবিধার প্রতিফলন নেই বাজারে।

ডিমের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে পোলট্রি, ডেইরি ও ফিশ ফিডের উৎপাদনমূল্য পর্যালোচনার জন্য তাগিদ দিয়েছেন অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বাজার পর্যালোচনায় গঠিত জাতীয় কমিটির সদস্যরা। তাঁরা বলছেন, ডিমের চাহিদার তুলনায় উৎপাদনে ঘাটতি না থাকলেও অদৃশ্য কারণে বাজারে অস্বাভাবিকভাবে এর দাম বেড়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ডিম বাজারজাতকরণে অতিমুনাফা ও ত্রুটিপূর্ণ মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতির ফলে ডিমের বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়। পার্শ্ববর্তী দেশে ভারতে ডিমের মূল্য প্রতি ডজনে বাংলাদেশি টাকায় ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, যা বাংলাদেশের তুলনায় অর্ধেক।

দেশে ডেইরি ও পোলট্রি ফিডের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হলে বাজারে এর সুফল মিলছে না। সূত্র: বিবিসি বাংলা

সর্বশেষ - মিডিয়ার সংবাদ