ঢাবির সংগীত বিভাগের শিক্ষকের বিরুদ্ধে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মহসিনা আক্তার খানম (লীনা তাপসী খান)-এর বিরুদ্ধে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি-নায়েমের সাবেক মহাপরিচালক ইফফাত আরা নার্গিস। বিষয়টি তদন্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি বলেও অভিযোগ তার।

রবিবার দুপর বেলা বারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান নায়েমের সাবেক মহাপরিচালক ইফফাত আরা নার্গিস। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সঙ্গীতের প্রতি প্রবল আগ্রহের কারণে আমি লীনা তাপসী খানের ‘নজরুল-সঙ্গীতে রাগের ব্যবহার’ নামের গ্রন্থটি সংগ্রহ করি। কিন্তু গ্রন্থটি পাঠ করে আমার এর আগে পাঠ করা ৩/৪টি গ্রন্থের সঙ্গে বেশ কিছু অংশের হুবহু মিল খুঁজে পাই, যা পরিষ্কার চৌর্যবৃত্তি। এই গ্রন্থের কারণে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছেন, পদোন্নতি নিয়েছেন। আবার এই গ্রন্থের জন্য তিনি নজরুল পদকও লাভ করেছেন। এই চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমে তিনি আর্থিক, পেশাগত ও সামাজিক মর্যাদা গ্রহণ করেছেন যা দুর্নীতি হিসেবে গণ্য হয়।’

তিনি বলেন, চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি লীনা তাপসী খানের পিএইচডি-অভিসন্দর্ভের ওপর ভিত্তি করে রচিত গ্রন্থ ‘নজরুল সঙ্গীতে রাগের ব্যবহার’ সম্পর্কে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ তদন্ত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর আবেদন করেছিলাম। কিন্তু অভিযোগের চার মাস পেরোলেও কোনো ফল হয়নি। একারণে অভিযোগের বিষয় সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরছি।’

অভিযোগের বিষয়ে লীনা তাপসী খান বলেছেন, ‘এসব অভিযোগ মিথ্যা, ভুল এবং বানোয়াট। আমার বোর্ড আমাকে যেভাবে তত্ত্বাবধান করেছে, আমার গাইড আমাকে যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছে, আমি সেভাবেই করেছি। বারো বছর আগে করা পিএইচডি’র ভুল একজন বারো বছর পরে ধরতে এসেছেন।’

অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো আখতারুজ্জামান বলেন, ‘এ ধরনের একটি অভিযোগ আমি পেয়েছি। তবে সেটি অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। আমি অভিযোগটি আবার দেখবো।’

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ