শনিবার , ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

‘ঢাবিতে রাজনীতি বন্ধ রাখা অযৌক্তিক অসাংবিধানিক’

Paris
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪ ১০:৫৩ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তটিকে অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।

একইসঙ্গে ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের একাধিক জায়গায় পিটিয়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।

শনিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক মো. আবুল আলিম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ আমীরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে সংগঠনের নেতারা বলেন, রাজনীতি বন্ধ থাকলে পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তির পুনরুত্থান ঘটবে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ ঘাপটি মেরে আছে। রাজনীতি বন্ধের সুবিধা নিয়ে আবারও তাদের পুনর্বাসন ঘটবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড অন্যায়। মানুষের মাঝে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে, যা খুবই উদ্বেগজনক এবং সেটি কাম্য নয়। এমন অবস্থায় অবিলম্বে তা রুখে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

নেতারা বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের অবসানের পর দেশবাসী স্বৈরাচারী ব্যবস্থাকে উৎখাত করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষিপ্রতার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের বিষয়ে জনগণকে এখনও স্পষ্ট করেনি। ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, গাইবান্ধা ও রাজশাহীতে পিটিয়ে ছাত্র-যুবকদের হত্যা করা হয়েছে। এখনও দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে তোফাজ্জল নামে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে মানিব্যাগ ও মোবাইল চুরির অভিযোগে যেভাবে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেই ঘটনায় তারা হতভম্ব এবং বিস্মিত। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত পীড়াদায়ক এবং বেআইনি। অথচ উচিত ছিল ওই ব্যক্তিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া।

ফোরামের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় ছাত্রলীগের একজন নেতার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। আসলে এভাবে ফ্যাসিবাদের ধারক ও বাহকরা ঘাপটি মেরে আছে। তারা সময় সুযোগ বুঝে বিভিন্ন বেআইনি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ছাত্রজনতার রক্তাক্ত বিজয়কে নস্যাৎ করতে চায়। তাছাড়া পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল প্রশাসনের নির্লিপ্ততা আমাদের হতবাক করেছে। এজন্য আমরা হল প্রশাসনের পদত্যাগ দাবি করছি। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের যেসব প্রেতাত্মা ও দোসর এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই উল্লেখ করে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতারা বলেন, কেউ অন্যায় করলে বা অপরাধী হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ওই ব্যক্তির বিচারের বিধান রয়েছে। কোনো ব্যক্তি অন্যায় এবং অপরাধ করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে। কোনোভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। তারা অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানান। সেইসঙ্গে কালক্ষেপণ না করে নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের আলোচনা শুরু করার জন্য দাবি জানানো হয়।

 

সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ - জাতীয়