ঢাকায় স্মরণকালের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর বাতাস

মঙ্গলবার প্রায় পুরোটা সময় ঢাকার বাতাস স্বাস্থ্যকর রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে চলমান চলাচলে বিধিনিষেধ, ঈদের ছুটিতে কল-কারখানা ও ইটভাটা বন্ধ থাকায় স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে রাজধানীর বাতাস।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় ৩৮ স্কোর নিয়ে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ১০তম অবস্থানে উঠে এসেছে জনবহুল ঢাকা শহর। যা বাতাসের মানকে ‘ভালো’ নির্দেশ করে।

একিউআই সূচকে ৫০ এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেয়া হয়। তবে এ অবস্থায় শিশু, বয়স্ক ও যাদের শ্বাসকষ্ট আছে তাদের বাইরে বেশি সময় না থাকার পরামর্শ দেয়া হয়।

চীনের চেংদু এবং  শেনজেন প্রথম দুটি শহর যেখানে সবচেয়ে ভালো স্বাস্থ্যকর বাতাস বইছে। ভারতের দিল্লি ঠিক ঢাকার ওপরে রয়েছে।

সূচকে ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে স্কোর থাকার অর্থ হলো সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর স্বাস্থ্যের ওপর আরও বেশি প্রভাব পড়তে পারে।

বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হিসেবে এ শহরের চারপাশে অবস্থিত ইটভাটাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) গবেষণা বলছে, গত চার বছরের মার্চের সঙ্গে চলতি মার্চ মাসের ঢাকার বায়ুর মানের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২৭ মার্চ শুক্রবার ঢাকার বায়ুর মান (১১৪) ছিল সবচেয়ে ভালো।

২০১৬ থেকে চলতি মাসের ২৫ মার্চ পর্যন্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ক্যাপস দেখেছে, এ চার বছরে মার্চ মাসজুড়ে ঢাকায় গড়ে বায়ুর মান সূচক বা (একিউআই) ছিল ২০০-এর মধ্যে।