ড্রোন দিয়ে হামলা করা হয় জম্মুর বিমানঘাঁটিতে

জম্মু বিমানবন্দরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে শনিবার দিবাগত রাতে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে যে দুটি বিস্ফোরণ ঘটেছে- তা ড্রোন হামলা বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক গোয়েন্দারা।

শনিবার স্থানীয় সময় দিবাগত রাত ১টা ৩৭ মিনিটে প্রথম হামলা এবং ১টা ৪৩ মিনিটে দ্বিতীয় ড্রোন হামলাটি করা হয় বলে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

ভারতীয় বিমান বাহিনীর ওই ঘাঁটিটি পাকিস্তান সীমান্ত থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।এ কারণে ভারত এ হামলায় পাকিস্তান জড়িত বলে সন্দেহ করছে।

একে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে প্রথম ড্রোন হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ)। বিস্ফোরণে আইএএফের দুই সদস্য আহত হয়েছেন, তবে তাদের আঘাত তেমন গুরুতর নয়।

বিস্ফোরণের পর ভারতের ন্যাশনাল বোম্ব ডেটা সেন্টারের বিশেষজ্ঞরা, কয়েকটি ফরেনসিক টিম এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ উচ্চ নিরাপত্তায় ঘেরা ওই বিমানবন্দরটিতে হাজির হয়। প্রথম বিস্ফোরণে বিমান ঘাঁটিটির প্রযুক্তি বিভাগের একটি ভবনের ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর অপর বোমাটি খোলা জায়গায় বিস্ফোরিত হয়েছে।

হামলাটিকে গুরুতর ঘটনা হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিমানবন্দরটির ডিসপারসাল এলাকায় পার্ক করে রাখা একটি বিমান ড্রোনগুলোর লক্ষ্যস্থল ছিল বলে কয়েকটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আইএনএ।

তদন্তকারীদের দাবি, স্টেশনে মোতায়েন বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টারগুলোকেই নিশানা করা হয়েছিল। কোনোভাবে ড্রোন লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে।

কেন্দ্রীয় বোমা বিশেষজ্ঞ, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।

বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) একটি দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ঘটনা নিয়ে চিফ এয়ার মার্শালের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

বিভিন্ন মিডিয়া চ্যানেল সূত্রের খবর, জম্মুর বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ ড্রোনের মারফত হয়েছে। আর সেই ড্রোন রিমোটে অন্য এক জায়গা থেকে অপারেট করা হচ্ছিল। তবে ঘুরেফিরে পাকিস্তানের দিকেই ভারি হচ্ছে সন্দেহ।

এর আগে (পাঠানকোট, ২০১৬) পাকিস্তান থেকে জম্মু সীমান্তের ভেতর ১২ কিলোমিটার এলাকায় ড্রোন দিয়ে হামলা হয়েছে।

সূত্রঃ যুগান্তর