ডেল্টা’র চেয়ে বেশি দ্রুত ছড়াবে ‘ডেল্টা প্লাস’

যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের একটি নতুন রূপান্তরিত রূপ যাকে কেউ কেউ ‘ডেল্টা প্লাস’ বলছেন তা সাধারণ ডেল্টার চেয়ে আরো সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি (ইউকেএইচএসএ) এই সম্ভাব্য ঝুঁকিকে আমলে নিয়ে এটিকে “তদন্তাধীন ভেরিয়েন্ট’ বিভাগে নিয়েছে।

তবে, এটি পরিস্থিতিতে আরো খারপের দিকে নিয়ে যাবে- এমন প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীরা আত্মবিশ্বাসী যে বিদ্যমান টিকাগুলো এখনও মানুষকে রক্ষা করার জন্য ভালোভাবে কাজ করবে। যদিও নিয়মিত ডেল্টা এখনো যুক্তরাজ্যে বেশির ভাগ কভিড সংক্রমণের জন্য দায়ী, তবে ‘ডেল্টা প্লাস’ বা AY.4.2 এর সংক্রমণ বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তারা বলছেন, কিছু প্রাথমিক প্রমাণ রয়েছে যে এটি ডেল্টার তুলনায় যুক্তরাজ্যে বৃদ্ধির হার বাড়াতে পারে। ইউকেএইচএসএ বলেছে, ‘এই উপ-বংশ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাজ্যে ক্রমবর্ধমানভাবে সর্বজনীন হয়ে উঠেছে এবং এর কিছু প্রাথমিক প্রমাণ রয়েছে যে ডেল্টার তুলনায় যুক্তরাজ্যে এর বৃদ্ধির হার বাড়তে পারে।’ তবে ডেল্টার বিপরীতে এটি এখনও ‘উদ্বেগের ভেরিয়েন্ট’ হিসাবে বিবেচিত হয়নি।

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা কভিডের হাজার হাজার বিভিন্ন ধরন বা রূপ রয়েছে। ভাইরাস সব সময় পরিবর্তিত হয়, তাই নতুন নতুন ভেরিয়েন্ট আসায় অবাক হওয়ার কিছু নেই। AY.4.2 হলো ডেল্টার একটি শাখা যাতে কিছু নতুন মিউটেশন রয়েছে যা স্পাইক প্রোটিনকে প্রভাবিত করে। Y145H ও A222V- রূপান্তরগুলো মহামারি শুরুর পর থেকে অন্যান্য বিভিন্ন করোনাভাইরাস বংশে পাওয়া গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও কয়েকটি ক্ষেত্রে শনাক্ত করা হয়েছে। ডেনমার্কে কিছু ছিল, কিন্তু AY.4.2 এর সাথে নতুন সংক্রমণ সেখানে নেমে গেছে।

যুক্তরাজ্য এর মধ্যে শীতের আগে উচ্চঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের কভিড ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ অফার করছে। যাতে তারা করোনভাইরাস থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা পায়।

ইউকেএইচএসএ-এর প্রধান নির্বাহী ড. জেনি হ্যারিস বলেছেন, ‘জনস্বাস্থ্য পরামর্শ সব বর্তমান প্রকরণগুলোর জন্য একই। টিকা নিন এবং যাঁদের বুস্টার ডোজ লাগবে তাঁরা এগিয়ে আসুন- যত তাড়াতাড়ি আপনাকে ডাকা হবে। সাবধানতা অবলম্বন চালিয়ে যান। জনাকীর্ণ স্থানে মাস্ক পরুন এবং বাড়িতে বাইরের লোকদের সঙ্গে দেখা করার সময়ও। ঘরের বাতাস চলাচলের জন্য জানালা এবং দরজা খুলে দিন। আপনার যদি উপসর্গ থাকে তবে একটি পিসিআর পরীক্ষা করুন এবং নেতিবাচক ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত বাড়িতে আইসোলেশনে থাকুন।’

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ