ডেঙ্গুতে কপাল পুড়ল শাহীন আফ্রিদির

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

আর কয়েক দিন পরই তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে শ্রীলংকা। পুরোদমে প্রস্তুত পাক ক্রিকেট দল। ইতিমধ্যে ওয়ানডে সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

সরফরাজ আহমেদকে অধিনায়ক করেই এ স্কোয়াড দিয়েছেন দলটির প্রধান কোচ ও নির্বাচক মিসবাহ-উল-হক। তার ডেপুটি করা হয়েছে বাবর আজমকে। দলে ফিরেছেন আবিদ আলি, ইফতেখার আহমেদ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও উসমান খান শেনওয়ারি। বাদ পড়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলি।

ডেঙ্গুতে কপাল পুড়েছে আফ্রিদির। বিশ্বকাপের পর দেশে ফিরেই ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাকে। লাহোরের একটি হাসাপাতালে চিকিৎসা নেন বাঁহাতি পেসার। তার দেখভাল করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠলেও পুরোপুরি ফিট নন আফ্রিদি। আসন্ন শ্রীলংকা সিরিজের জন্য পিসিবি ঘোষিত ২০ সদস্যের প্রাথমিক দলেও ছিলেন না তিনি। বাসায় ছিলেন পূর্ণ বিশ্রামে। তবু ফিট হয়ে উঠতে পারেননি দ্রুতগতির এ পেসার।

একই সঙ্গে ছিটকে যান হাসান। পিঠের ব্যথার কারণে বাইরে থাকতে হচ্ছে তাকে। বিশ্বকাপের শুরুতে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দলে ব্রাত্য হন তিনি। তবে ছিলেন প্রাথমিক দলে।

এ ছাড়া সবশেষ বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে থাকা মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিক দলে নেই। এরই মধ্যে এ ফরম্যাটকে বিদায় জানিয়েছেন অভিজ্ঞ শোয়েব। আর হাফিজ ব্যস্ত রয়েছেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল)। সেন্ট কিটসের হয়ে খেলছেন মিস্টার প্রফেসর।

দীর্ঘসময় পর দলে ডাক পেয়েছেন ব্যাটিং অলরাউন্ডার ইফতেখার ও স্পিনিং অলরাউন্ডার নওয়াজ। সবশেষ ২০১৫ সালের নভেম্বরে ওয়ানডে খেলেন ইফতেখার। নওয়াজ শেষ ওয়ানডে খেলেন গেল বছর দুবাইতে এশিয়া কাপে। পাকিস্তানের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ভালো খেলার পুরস্কার হিসেবে দলে ফিরেছেন তারা।

আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও শ্রীলংকা। পরে ২৯ সেপ্টেম্বর ও ২ অক্টোবর হবে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ। তিনটি ম্যাচই হবে করাচির জাতীয় স্টেডিয়াম।

ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তান স্কোয়াড

সরফরাজ আহমেদ, বাবর আজম, আবিদ আলি, আসিফ আলি, ফাখর জামান, হারিস সোহাইল, মোহাম্মদ হাসনাইন, ইফতিখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, ইমাম উল হক, মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাদাব খান, উসমান খান শিনওয়ারি ও ওয়াহাব রিয়াজ।