ডি ভিলিয়ার্সের জন্যই টি-টোয়েন্টিতে ২০০ করতে পারেননি গেইল!

ক্রিকেটে এখন কত কিছুই চিন্তা করা যায়! আগে ওয়ানডেতেও কেউ কোনদিন ২০০ বা ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারবে কি না, সেটি নিয়ে আলোচনা হতো। এখন সেই আলোচনা চলে এসেছে টি-টোয়েন্টিতে।

আসলে ক্রিস গেইলের মতো ব্যাটসম্যানরাই দেখিয়ে দিয়েছেন, টি-টোয়েন্টিতেও ডাবল সেঞ্চুরি অসম্ভব কিছু নয়। আইপিএলে গেইলের ১৭৫ রানের ইনিংসটিই এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। তবে ক্যারিবীয় ওপেনার জানালেন, সেদিনই হয়তো ২০০ করে ফেলতে পারতেন তিনি।

সম্ভব হয়নি কেন? এবি ডি ভিলিয়ার্সের কারণে। হ্যাঁ, ক্রিস গেইল নিজেই সে কথা বলছেন। সম্প্রতি এক লাইভ চ্যাট শো’তে স্বঘোষিত ‘ইউনিভার্স বস’ বললেন, প্রোটিয়া তারকার জন্যই তার ডাবল সেঞ্চুরিটা হাতছাড়া হয়েছে।

আসলে গেইল দোষারূপের ছলে বলেননি। তার অসাধ্য সাধনের ম্যাচে যে চার নম্বরে নেমে ডি ভিলিয়ার্স খেলে বসেছিলেন ৮ বলে ৩১ রানের ইনিংস, সে ইনিংসটা তিনি না খেললেই হয়তো গেইলের দুইশ হয়ে যেতো।

২০১৩ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু আর পুনে ওয়ারিয়র্সের ম্যাচের ঘটনা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে গেইলের অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ২৬৩ রান তুলেছিল ব্যাঙ্গালুরু। ম্যাচে ৬৬ বলে ১৭ ছক্কা আর ১৩ চারের সাহায্যে ১৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন গেইল।

ভারতীয় দুই ক্রিকেটার মায়াঙ্ক আগারওয়েল আর লোকেশ রাহুলের সঙ্গে অনলাইন এক চ্যাট শো’তে গেইল সেই ইনিংসটির স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমার মনে আছে, কয়েক ওভার খেলার পরই বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমি ভেতরে এসে রবি রামপলকে বলেছিলাম, উইকেটটা সত্যিই দারুণ মনে হচ্ছে। আমাদের জিততে হলে কমপক্ষে ১৭০-১৮০ রান করতে হবে।’

শেষ পর্যন্ত ওই দলীয় লক্ষ্যকে নিজের লক্ষ্যই বানিয়ে ফেলেন গেইল। ক্যারিবীয় ওপেনার বলেন, ‘বৃষ্টির পর যখন খেলা শুরু হলো, সেখান থেকেই শুরু করলাম। আমি সেই ধারা, সেই ছন্দেই ছিলাম। কখনও এমন দিন আসে, যখন ব্যাটসম্যান জানে যা করবে কিছুই ভুল হবে না। আমার সেই দিনটি ছিল এমন। আমি অসাধারণ ছিলাম। এটা বলেও মজাও করছিলাম, ১৭৫ আমাদের দলীয় সংগ্রহ হওয়া উচিত ছিল।’

তবে সেই ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরির সুযোগটা হাতছাড়া হওয়ার আফসোস আছে গেইলের। এর জন্য দায় দেখছেন সতীর্থ এবি ডি ভিলিয়ার্সের। তিনি বলেন, ‘আমি ২০০ করে ফেলতে পারতাম যদি না এবিডি উইকেটে আসতো। সেও এসে বেধড়ক মারতে থাকে।’

ওই ম্যাচে ২৬৪ রানের প্রায় অসম্ভব লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৩৩ রানেই আটকে যায় পুনে ওয়ারিয়র্স। ব্যাঙ্গালুরু পায় ১৩০ রানের সহজ জয়।