ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে স্ত্রীর করা জিডি তদন্তের নির্দেশ আদালতের

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসানের করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট  মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, শনিবার মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার সাব-ইন্সপেক্টর রাজিব হাসান জিডিটি তদন্তের অনুমতির জন্য আদালতে পাঠান।

ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ধানমন্ডি থানায় এসে ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে জিডি করেন তিনি। এর আগে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চান ডা. জাহানারা এহসান।

সম্প্রতি এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে ডা. মুরাদের অশালীন ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের এই সংসদ সদস্যকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত ৭ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগ করলে ওইদিন রাতেই তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। একইদিনে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় মুরাদ হাসানকে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এর ধারাবাহিকতায় তাকে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার মুরাদ হাসানকে তার নিজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।এ ছাড়া মুরাদের আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলের বিষয়েও দলের পরবর্তী কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

গত ৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে কানাডার উদ্দেশে দেশত্যাগ করেছিলেন তিনি। এরপর কানাডার টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলেও তাকে সে দেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

সেখান থেকে তাকে দুবাইগামী একটি ফ্লাইটে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু দুবাইও তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।  সেখানেও ব্যর্থ হওয়ার পর আর উপায় না পেয়ে দেশে ফিরে আসেন বিতর্কিত এ রাজনীতিক।

 

সূত্রঃ যুগান্তর