ডা. জাফরুল্লাহর প্রশংসায় ‘বিব্রত’ বিচারপতি, শুনানিতে অপারগতা

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রশংসা করায় তার করা একটি রিট আবেদনের শুনানি নিতে ‘বিব্রতবোধ’ করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। শুনানিতে অপারগতা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, এই আবেদনের ওপর সিদ্ধান্ত দিলে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। আবেদনটি নিয়ে অন্য বেঞ্চে যেতে বলেছেন এ বিচারপতি।

ডা. জাফরুল্লাহর প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজে আসন বাড়ানোর বিষয়ে রিট আবেদন করা হয়। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একটি অনুষ্ঠানে বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের প্রশংসা করে বক্তব্য দেন জাফরুল্লাহ।  তিনি সেদিন বলেন, সম্প্রতি একটি খুনের মামলায় দুই বিচারপতি সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ও বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম) বাংলাতে রায় দিয়েছেন। তাদের অভিনন্দন। একইভাবে যখন পরীমনিকে হয়রানি করা হচ্ছিল, তারা (দুই বিচারপতি) প্রতিকারের চেষ্টা করেছেন। আমাদের যে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুণী ও সজ্জন বিচারপতি হলেন বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম।

মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে জাফরুল্লাহর রিট আবেদনটি শুনানির জন্য এলে বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেব, আপনি আমার অনেক প্রশংসা করেছেন। আমি এ মামলায় যদি আদেশ দেই, তাহলে কেউ ভিন্ন মন্তব্য করতে পারেন। সে জন্য আপনি অন্য আদালতে যান। আমরা আউট অফ লিস্ট করে দিচ্ছি।’

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফখরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

পরে আইনজীবী ফখরুল ইসলাম বলেন, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজে ২০০৩ সালে ৮০ জন ছাত্র ভর্তির অনুমতি পায়। পরে ২০১০ সালে তা উন্নীত করে ১১০ জন পায়। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ার পরে তারা চিঠি দিয়ে বলে ৫০ জনের বেশি ভর্তি করা যাবে না। এ বিষয়ে আপিলের ভিত্তিতে ১০ জন বাড়িয়েছিল। অথচ গণস্বাস্থ্যের অবকাঠামো হল ১১০ জনের। তাই গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার ১১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।

 

সূত্রঃ যুগান্তর