ডাবলু সরকারকে দল থেকে অব্যাহতি দিতে কেন্দ্রে আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিক্ষোভ মিছিল, সভা, সমাবেশ, মানববন্ধনের পর এবার রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে দলীয় ও সদস্য পদ থেকেও অব্যাহতি দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রে আবেদন করা হয়েছে।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাসহ ৪৮ জনের স্বাক্ষরকৃত একটি আবেদনপত্র আওয়ামী লীগের সভাপতি বরাবর পাঠানো হয়েছে। গত ২৭ মার্চ রাজশাহী মাহনগর সিনিয়র নেতাদের সাক্ষরিত এ আবেদন পত্র কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কমিটির সদস্য এবং রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী মোজাফ্ফর হোসেন। চিঠিটি বিবেচনায় নেয়ার জন্য সুপারিশ করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বিএমডিএর চেয়ারম্যান সাবেক এমপি বেগম আখতার জাহান।

কেন্দ্রে পাঠানো আবেদনে বলা হয়েছে, আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের বর্তমান কার্য নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ। আপনার নিকট সবিনয় নিবেদন রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের একটি যৌন আবেদনময়ী নগ্ন ভিডিও গত ১৭.০২.২০২৩ইং তারিখে সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধমে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে রাজশাহীসহ আশে পাশের জেলা এবং স্থানীয় জাতীয় গনম্যাধমে বিষয়টি মূখ্য আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।

ডাবলু সরকারের এহেন নৈতিক স্খলনজনিত কর্মকান্ডের প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন তাকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সহ সকল কর্ম কান্ড থেকে বহিরে রাখার দাবি জানায়। ডাবলু সরকারের এহেন কর্ম কান্ডে দলের ভাবমূর্তি ধ্বংস করছে। যা আগামী জাতীয় নির্বাচন সহ অন্যান্য নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। ইতি মধ্যে দলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের মধ্যে চরম অসন্তোস ও বিরূপ সৃষ্টি হয়েছে।

কেন্দ্রে পাঠানো আবেদনে আরো উল্লেখ্য করা হয়েছে, ডাবলু সরকার আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী রাজাকার আব্দুস সাত্তার টিপুর প্রধান সহযোগী মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত্য আসামী রাজাকার আব্দুর রশিদ সরকারের পুত্র।

এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে ডাবলু সরকারকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সহ সাধারণ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। 

এবিষয়ে রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, কতজন নেতা আবেদন করেছে সেটি আমার জানা নেই। তবে আমি স্বাক্ষর করেছি। তাকে অব্যাহতি চেয়ে দলীয় প্রধান বরাবার আবেদনও করেছি। তিনি বলেন, ডাবলু সরকারের নগ্ন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বিবিন্ন স্থানে মানববন্ধন, বিক্ষভ হতে থাকে। এইসব কিছুতে একটি প্রভাব পড়ছে। তাই আমরা তাকে অব্যহতির জন্য দলীয় প্রধান বরাবর অবেদন করেছি।